মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতে মামলা দায়ের করায় মামলার বাদীকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও দুইদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার বিকালে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইফতি হাসান ইমরান ওই আদেশ দেন।
আদালত সূত্র থেকে জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার হুলাটানা গ্রামের মোসা. সাহিনুর বেগম তার পুত্রবধূ খাদিজা বেগমকে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে কিছু জমি লিখে দেন। পুত্রবধূর সাথে শাশুড়ির সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ২০২৪ সালের ৩ ডিসেম্বর শাশুড়ি সাহিনুর বেগম ওই অ্যাফিডেভিট জাল মর্মে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুত্রবধূ খাদিজাসহ চারজনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করেন।
ওই সময় আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে বরগুনা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করে। গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে মামলার বাদী সাহিনুর বেগম তার তথ্য মিথ্যা বুঝতে পেরে পুত্রবধূর সাথে আপস-মীমাংসা করে মামলা তুলে নিতে সোমবার আদালতে হাজির হয়ে আবেদন করেন।
ওই সময় আদালতের অফিসার অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা বিচারকের অনুমতি নিয়ে মামলার বাদী সত্য অ্যাফিডেভিটকে মিথ্যা বলে মামলা দায়ের করেছেন বলে বিচারককে অবহিত করেন। বিচারক বাদীর জবানবন্দি শুনে ফৌজদারি কার্যবিধির ২৫০ ধারা মোতাবেক তাকে দুইদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও দুইদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার কামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সঠিক অ্যাফিডেভিটকে জাল বলে আদালতে মামলা দায়ের করে বিবাদীদের অহেতুক হয়রানি করায় বিচারক মামলার বাদী সাহিনুর বেগমকে দুইদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও দুইদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা বলেন, বাদী আমার চেম্বার থেকে সঠিক অ্যাফিডেভিট করে তা জাল বলে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই অপরাধে আদালতের বিচারক বাদীকে দুইদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও দুইদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই