ঈদুল আযহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আলুটিলা রহস্যময় সুড়ঙ্গ, রিছাং ঝর্ণা, ঝুলন্ত সেতু, তারেং, মায়াবিনী লেকসহ জেলার সব পর্যটন কেন্দ্র পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে।
বৃষ্টির পর বর্ষার মোহনীয় রূপ যেন পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। খাগড়াছড়ির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা ভ্রমণ উপভোগ করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
স্থানীয় ও বাইরের পর্যটকদের আগমনে হোটেল-মোটেল, পার্ক ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে ভিড় লেগে আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল জানান, “পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যাতে কেউ কোনো হয়রানির শিকার না হন।”
জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, “পর্যটকদের আনন্দ উপভোগের জন্য জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকরাও পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরতে পারছেন।”
আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক জানান, “এবার ঈদে টানা ছুটির ফলে পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এতে রাজস্ব আয় বাড়বে বলেও আশা করা যাচ্ছে।”
পর্যটকদের মতে, “আলুটিলা সহ অন্যান্য কেন্দ্রগুলোতে অনেক নতুন স্থাপনা হয়েছে। বিকেলের সময় কাটানোর জন্য এটি দারুণ একটি জায়গা। সব মিলিয়ে খাগড়াছড়ির পর্যটন স্পটগুলো এখন অসাধারণ।"
স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘ সময় পর খাগড়াছড়ি ফিরে পেয়েছে তার চিরচেনা কোলাহল। ঈদের ছুটিতে পর্যটন খাত আবারও প্রাণ ফিরে পেয়েছে বলে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ঈদের টানা ছুটিতে খাগড়াছড়ির পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের বিপুল সমাগমে জমজমাট উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নতুন স্থাপনাগুলোর কারণে পর্যটকদের আগমন আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ