বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি চার পাঁচ ফুট বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিচ্ছিন্ন চর এবং বাঁধের বাইরের হাজার হাজার বাড়িঘর তলিয়ে গেছে। নদী তীরের মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে আতঙ্ক।
এদিকে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে ওঠায় জেলেরা নদীতে যেতে পারেনি। তারা নদী তীরে অলস সময় কাটাচ্ছেন।
অপর দিকে তজুমদ্দিন উপজেলার স্লুইসগেট এলাকায় চলতি মৌসুমে নির্মিত রিংবাধের উপর দিয়ে লোকালয়ে মেঘনার পানি প্রবেশ করেছে।
জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান জানান, আসন্ন ঘূর্ণিঝড় শক্তি এবং মন্থা মোকাবিলায় ইতোমধ্যেই সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১৪টি মাটির কিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। ১৩ হাজার ৮৬০জন সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক সদস্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরগুলো থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জেলা সদরসহ সাত উপজেলায় ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার সাত উপজেলায় গঠন করা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাধারণ ছুটি বাতিল করা হয়েছ। পাশাপাশি পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে আজ বুধবার দুপুরের পর থেকে আকাশে ভারী মেঘের ঘনঘটা। মাঝেমধ্যে থেমে থেমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বইছে হালকা থেকে মাঝারি ধরণের দমকা বাতাস। মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীর পানি বেড়েছে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল