কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে উৎসবমুখর হয়ে উঠে লাল মাটির ক্যাম্পাস। এই উপলক্ষে বুধবার (২৮ মে) ক্যাম্পাসে আনন্দ র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
এদিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন তাদের প্রত্যাশার কথা। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানকে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম কাতারে দেখতে চান। উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে আরো উন্নতর করতে চান। এজন্য তিনি শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও গবেষণামুখী হওয়ার বিষয়ে তাগিদ দেন। আগামী এক বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় আরো সমৃদ্ধি লাভ করবে বলেও তিনি জানান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশের লাল মাটির ক্যাম্পাস বর্ণিল হয়ে উঠেছে। রঙ্গনসহ নানা ফুল তার সৌন্দর্য মেলে ধরেছে। সেখানে প্রজাতির দল উড়ে বেড়াচ্ছে। কৃষ্ণচূড়ার ডালের ফুরিয়ে আসা ফুলও তার রঙ ছড়াচ্ছে।
শিক্ষার্থী লাবীব রহমান, খায়রুল আলম মাসুম,কামরুন নাহার রুপা ও পাকিজা বলেন, সব শিক্ষার্থীর চাওয়া তার বিশ্ববিদ্যালয় যেন আন্তর্জাতিক মানের হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি যেন গবেষণামুখী হয়। এখানে লাইব্রেরি ও বিজ্ঞানাগারের সংকট দূর করতে হবে।
সাংস্কৃতিক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির সদস্য সচিব ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোশাররফ হোসেন বলেন, ৭টি বিষয় নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়েছিল। এখন এটিতে ১৯টি বিভাগ। এই প্রতিষ্ঠান বিশ্বমানে পেঁছে যাক সেই প্রত্যাশা করছি।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নুরুল করিম চৌধুরী বলেন, ১৬ বছর পর আমরা আনন্দের সাথে দিবসটি পালন করেছি। এসব অনুষ্ঠান আমাদের নিকট মিলনমেলার মতো। এতে আমাদের কর্মস্পৃহা বাড়ে। আমরা চাই এসব আয়োজন যেন নিয়মিত হয়।
এদিকে বেলুন উড়িয়ে এবং আনন্দ র্যালির মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কার্যক্রম শুরু হয়। মুক্ত মঞ্চে আলোচনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ হায়দার আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান এবং প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আবদুল হাকিম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন কমিটির আহবায়ক প্রফেসর ড. এম এম শরীফুল করীম।
বিডি প্রতিদিন/এএ