নেত্রকোনার আটপাড়ায় পারিবারিক দ্বন্ধের জেরে ভাই ভাতিজাদের হামলায় চাচা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কায়সার ইমরান বাবুল (৫৭) খুন হয়েছেন বলে জানা গেছে। রবিবার রাতে আটপাড়া উপজেলার দুওজ ইউনিয়নের শ্রীরাম পাশা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ রাতেই এ ঘটনার ইন্ধনদাতা নিহতের ছোট ভাই রতনকে আটক করেছে।
পুলিশ, স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিজেদের জমিতে সেচের পাম্প চালাতেন সিদ্দিকিুর রহমান ওরফে কিত্তন আলীর ছেলেরা। গত জানুয়ারি মাসের ২৯ তারিখ একটি সড়ক দুর্ঘটনায় কিত্তন আলীর এক ছেলে কামরুজআমান কামাল (৫৫) নিহত হন। পরে তাদের ওই সেচের পাম্প দুই ভাই ও ভাতিজারা দেখেন এবং সেই টাকা ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্ধে জাড়ান। ভাই ও ভাতিজাদের সাথে বিরোধ দেখা দেয় কায়সার ইমরান বাবুলের। এই বিরোধের জেরে ছোট ভাই রতন ও তার ছেলে এবং সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ভাইয়ের দুই ছেলের সাথে প্রায়শই তর্ক বিতর্ক হয়। এরই জেরে রবিবার রাতে চাচার সাথে ঝগড়ার এক পর্যায়ে তিন ভাই মিলে চাচা বাবুলের ওপর হামলা চালায়। কিল ঘুষিতে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে দৌড়ে বাবার ঘরে গিয়ে পালালেও বাবুলের শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই মারা যান তিনি।
আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান জানান, জমিতে সেচ দেয়ার পাম্পের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সিদ্দিকুর রহমান ওরফে কিত্তন আলীর ছেলেদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেচের পাম্পের সাথে জমি নিয়েও আলোচনা ওঠে। কিছুদিন পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনায় কামাল নামের এক ভাই মারা যায়। এরপর কামালের ছেলে ও অপর ভাই রতনসহ রতনের ছেলে মিলে এক পক্ষ আর নিহত বাবুল আরেক পক্ষ হয়। এই দুই পক্ষের মাঝে বারবার রিরোধের ঘটনায় স্থানীয়রা মীমাংসাও করে দেন।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, মূলত রতন তার ছেলে ও কামালের দুই ছেলেকে ইন্ধন দিলে তারা চাচার ওপর হামলা চালায়। তাদের মারধরে বাবুল তার বাবার ঘরে গিয়ে ওঠে। কিন্তু সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। আমরা খবর পেয়েই সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। সেইসাথে এই হামলার মূল ইন্ধনদাতা নিহতের ভাই রতনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিডি প্রতিদিন/এএম