রাজধানীর ওয়ারীর একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই দম্পতি হলেন মো. মুঈদ (৩২) ও তার স্ত্রী আইরিন আক্তার (৩০)। গতকাল দুপুরে ওয়ারীর হেয়ার স্ট্রিটে অবস্থিত জমজম টাওয়ারের পঞ্চম তলার ১৯/বি ফ্ল্যাটে তাদের লাশ পাওয়া যায়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায় ওয়ারী থানার পুলিশ। লাশ উদ্ধারের সময় কক্ষ থেকে একটি চিরকুটও উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে ‘আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ লেখাসহ আরও কিছু তথ্য রয়েছে। ওয়ারী থানার এসআই মো. কাউছার আহম্মদ বলেন, ‘খবর পেয়ে ওয়ারীর জমজম টাওয়ারের পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটের খাটের ওপর থেকে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত মুঈদ ক্যানসার আক্রান্ত ছিলেন। তার স্ত্রী আইরিন ঘর থেকে বের হতেন না। স্বামীর অসুস্থতায় তিনি বিষণ্ন থাকতেন। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে আমাদের ধারণা। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তাদের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।’ বাসার মালিক মো. নূর হোসেন আরিফ বলেন, ‘এই দম্পতি পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমাদের ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। দীর্ঘদিন ধরে মুঈদ অসুস্থ ছিলেন। গত আগস্ট মাস থেকে তারা ভাড়া দিতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে ফোনে কথা হয়েছিল, তারা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভাড়া নিতে যাওয়ার জন্য। পরে তাদের ফোন দিচ্ছিলাম, কিন্তু তারা ফোন রিসিভ করছিলেন না। বাসায় গিয়ে দেখতে পাই, তাদের ফ্লাক্সেবল গেট লাগানো। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশকে জানানো হয়। পরে পুলিশ এসে তাদের মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে। ওই দম্পতি চিরকুটে লিখেছেন, তাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাদের যেন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা না হয়।
সরকারি কবরস্থানে দুজনকে যেন একই সঙ্গে দাফন করা হয়।’ ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানা এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে আইরিন। একই জেলার দাউদকান্দির আড়াইকান্দি গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে মুঈদ। ওই দম্পতি ওয়ারীর জমজম টাওয়ারে থাকতেন। তাদের মৃত্যুর বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।’