কারো বাবা নেই, কারো মা নেই আবার অনেকেরই বাবা-মা দুজনই নেই এমন শিশুদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে ঈদ বস্ত্র প্রদান করা হয়। আর এই শিশুদের হাসি ফোটাতে মানবতার ফেরি হয়ে দাঁড়িয়েছে আরেক মানবিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'দৃষ্টি মানব কল্যাণ সংস্থা'। যার প্রতিষ্ঠাতা একজন প্রতিবন্ধী। ওই অর্ধশত এতিমদের নিয়ে ইফতারও করা হয়।
বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয় বরগুনার পাথরঘাটায়। বিষখালী নদী সংলগ্ন একটি মাঠে এ অনুষ্ঠান হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডা. বশির আহমেদ, সংকল্প ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক মির্জা শহিদুল ইসলাম খালেদ, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মনোজ কুমার কীর্তনিয়া, পাথরঘাটা সৌদী হাসপাতালের পরিচালক আ.মালেক, পাথরঘাটা ইসলামী হাসপাতালে পরিচালক জাকির হোসেন, উপকূল অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, হাফেজ রাকিব, জামাল হোসেন, শাকিল আহমেদ প্রমুখ।
সংগঠন থেকে প্রতি এতিম শিশুকে নতুন পাঞ্জাবির কাপড় এবং পাঞ্জাবি তৈরির মজুরী দেয়া হয়। এ সময় কেরাত এবং ইসলামী সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় ৬ জনকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে এতিমদের নিয়ে এক সাথে ইফতার করেন সংগঠনের সদস্যরা।
সংগঠনটির সভাপতি মো. সোহাগ আকন বলেন, আমরা প্রতিবছরই দরিদ্র এবং অধিকারবঞ্চিত শিশুদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি। খাবার এবং ঈদের কাপড় হাতে পাওয়ার পর ওদের হাসিমাখা মুখগুলো দেখে আমাদের গত কয়েকদিনের পরিশ্রম সার্থক বলে মনে হয়েছে। আমাদের চাওয়া হল, সারা বছর না হোক, অন্তত ঈদের একটা দিনে নতুন কাপড় পরার আনন্দটুকু যেন আমরা ওদের দিতে পারি। আমরা চাই সমাজের কোনো শিশুই যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়।
বিডি প্রতিদিন/এএ