গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে কমিউনিস্ট পার্টি, নারী শাখা। এ উপলক্ষ্যে আজ শনিবার (৮ মার্চ) সকাল ১১ টায় শহরের ১নং রেলগেটে দলটির জেলা কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
নারী শাখার সম্পাদক সুপ্রিয়া দেবের সভাপতিত্বে ও মেহেরুন মুন্নীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, জেলা সিপিবির সহকারি সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মুরাদ জামান রব্বানী।
জেলা সিপিবির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য কমরেড মিতা হাসান শুরুতেই আন্তর্জাতিক নারী দিবসের উপর প্রবন্ধ পাঠ করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গাইবান্ধা জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা।
বক্তারা বলেন, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরের নারী শ্রমিকরা ১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে রাস্তায় নেমেছিল। পরবর্তীতে জার্মান কমিউনিস্ট নেত্রী ক্লারা জেটকিনের আন্দোলনের ফলে দিনটি আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে আসছে। প্রতি বছর বাংলাদেশে দিবসটি পালিত হলেও নারী অধিকার নিশ্চিত করা যায়নি। বরং নারীরা নানাভাবে শোষণ-বৈষম্য ও নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে।
তারা বলেন, ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিজয়ের পর নারীরা যথাযথ মূল্যায়িত হয়নি। ২৪’র আন্দোলনেও নারী শিক্ষার্থীদের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু গণঅভ্যূত্থান পরবর্তী সময়ে নারীরাই সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রতিনিয়তই ঘটছে নারী ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতনের মত ঘটনা।
বক্তারা আরোও বলেন, কৃষি, গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতে নারী শ্রমিকরা শ্রম দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। শোষণ-বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য নারীদের সংগঠিত হওয়ার বিকল্প নাই।
পরে জেলা নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে উপস্থিত নারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ
