টাঙ্গাইলের নাগরপুরে ৫৫ বছর ধরে একই আঙিনায় চলছে নামাজ ও পূজা। হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এটি। নাগরপুর উপজেলা সদরের চৌধুরীবাড়ির আঙিনায় এ অসাম্প্রদায়িক পরিবেশের দেখা মেলে। প্রতি বছরের মতো এবারও চৌধুরীবাড়িতে শারদীয় দুর্গাপূজা হচ্ছে। পাশে মসজিদে আজান ও নামাজের সময় বন্ধ থাকছে ঢাক-ঢোলের বাজনা। দুই ধর্মের লোকজনই নিজ নিজ ধর্মীয় আচার ও নিয়ম পালন করে আসছে। কোনো অসুবিধা হচ্ছে না কারও।
পূজারীরা জানান, ৫৫ বছর ধরে এখানে মসজিদে নামাজ ও মন্দিরে পূজা-অর্চনা করে আসছে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ। দুই ধর্মের মানুষ একসঙ্গে মিলেমিশে একই উঠানে গড়ে তুলেছেন মসজিদ ও মন্দির। এতে কারও কোনো সমস্যা হয় না। একে অপরের সহযোগিতায় এখানে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠান চলে আসছে। নামাজ ও আজানের সময় পূজা বন্ধ রাখা হয়। যুগ যুগ এই সম্প্রীতি বজায় রেখে হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে মিলেমিশে বসবাস করছে। কোনো দিন দুই ধর্মের মানুষদের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। ভবিষ্যতে আশা করি ঘটবে না।
মুসল্লিরা জানান, তাদের মধ্যে কোনো ঝগড়াঝাটি নেই। আজান-নামাজের সময়সূচি তাদের কাছে দেওয়া আছে। নামাজ ও আজানের সময় বাজনা বন্ধ রাখে। তাদের নামাজে যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখে। তাদের সার্বিক সহযোগিতা করে। নামাজ শেষে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের ধর্মীয় উৎসব শুরু করেন। নাগরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হবি বলেন, একই স্থানে মসজিদ আর মন্দির নিয়ে কখনো কোনো দ্বন্দ্ব বা সাম্প্রদায়িক হানাহানি হয়নি। পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এর উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নাগরপুরের চৌধুরী বাড়ি। একই উঠানে মসজিদ ও মন্দির। তারা নামাজের সময় নামাজ আদায় করেছে পূজার সময় পূজা উদ্যাপন করছে। বিগত বছরের মতো এ বছরও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্যা পিত হচ্ছে।