দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর-হোমনা আঞ্চলিক সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত-খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায় এসব গর্তে। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আহত হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীরা। গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। ব্যাহত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রাস্তার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে ৩ উপজেলার লাখ লাখ মানুষ। স্থানীয়রা জানায়, বাঞ্ছারামপুর সদর থেকে হোমনা হয়ে গৌরিপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে এলাকার মানুষ। বাঞ্ছারামপুর উপজেলা থেকে হোমনার দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার। আর গৌরীপুরের দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাঞ্ছারামপুর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তিতাস, হোমনা, মুরাদনগর উপজেলার হাজার হাজার মানুষ করিকান্দি ফেরি পার হয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করে। স্থানীয়রা আরও জানায়, অনেক দিন সংস্কার না করায় সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে মাটি বেরিয়ে গেছে। বড় বড় খানাখন্দ-গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তগুলোয় পানি জমে চলাচলকারী গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়। সড়ক যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিএনজি যাত্রী সোলেমান মিয়া জানান, প্রায়ই কাজের জন্য ঢাকায় যেতে হয়। বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তগুলো যেন একেকটা ছোট পুকুরে পরিণত হয়। সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় গাড়ি চলতে চায় না, দ্বিগুণ সময় লাগে। সবসময় দুর্ঘটনার ভয় হয়। সিএনজিচালক মিঠু মিয়া বলেন, গর্তে পড়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। খরচ বাড়ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া অভিযোগ করে বলেন, এই সড়ক দিয়ে পণ্য পরিবহন করা কষ্টসাধ্য হয়ে গেছে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। বাঞ্ছারামপুর সড়ক ও জনপদের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রাস্তার পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারণে পানি জমে এসব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। রাস্তার পানি সরানোর ব্যবস্থা করলেও গ্রামবাসী তা বন্ধ করে দেয়। এতে পানি জমে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। পানি শুকিয়ে গেলে ইট বিছানোর ব্যবস্থা করা হবে।