সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অধিকাংশ সড়কের অবস্থাই বেহাল। উঠে গেছে পিচ, ইট ও পাথর। সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় খানাখন্দ। কোথাও জমে আছে কাদা। বৃষ্টি হলেই সড়ক ডুবে যায়। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। তবুও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারী-যাত্রীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ, নামমাত্র সংস্কার আর নিম্নমানের কাজের জন্যই সড়কগুলোর এ বেহাল চিত্র।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্বনাথ বাইপাস-জগন্নাথপুর সড়কের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। এ সড়কের কমপক্ষে পাঁচটি স্থানে বড় গর্ত হয়েছে। বৃষ্টির পানি জমে ডোবার মতো দেখায়। কালিগঞ্জ বাজার পেরিয়ে একাধিক স্থান ও পীরেরবাজারের পর বেশকিছু জায়গা এখন যানচলাচলের অনুপযোগী। যাত্রী ও মালামাল নামিয়ে এ এলাকা পাড়ি দেয় যানবাহন। এ সড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করাও মুশকিল। বেহাল অবস্থায় রয়েছে রামপাশা-রাজাগঞ্জ সড়ক, তেলিকোনা-স্টেশন, বাগিচা-গুদামঘাট, রামপাশা-বৈরাগীবাজার-সিংগেরকাছ, সিংগেরকাছ বাজার-টুকের বাজার, নকিখালি-সিংগেরকাছ, নারসিংপুর-রামপাশা, কালিগঞ্জ বরইগাঁও-খাইয়াখাইড় বাজার, রশিদপুর-সিরাজপুর, টেংরা বাজার-নোয়াগাঁও বাজার, বিশ্বনাথ কলেজ-নাজির বাজার ও বিশ্বনাথ নতুনবাজার-কুরুয়া বাজার সড়ক। জনগুরুত্বপূর্ণ এসব সড়কে চলাচলে দুর্ভোগের শেষ নেই বাসিন্দাদের।
স্কুলশিক্ষক আবদুল আহাদ বলেন, সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। বিকল হচ্ছে গাড়ি।
বাসচালক সাহেদ মিয়া বলেন, অনেক কষ্টে গাড়ি চালাই। মাঝে মাঝেই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায়ই লেগে যায় যানজট। বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, কিছু সড়কে মানুষের চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাস্তার টেন্ডার হয়েছে। কয়েকটিতে কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোর কাজ করা হবে। আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে অধিকাংশ রাস্তা ঠিক হবে যাবে।