বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার ফতেপুর বাজার থেকে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ কাজ শেষ হয় দুই মাস আগে। এরমধ্যে সাতটি স্থানে সড়ক ভেঙে গেছে। হাতের চাপে উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। এজন্য নিম্নমানের কাজকে দায়ী করেছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে দেখা যায়, নবনির্মিত এক কিলোমিটার সড়কের সাতটি স্থান ভেঙে গেছে। বেশির ভাগ ভাঙন হয়েছে সড়কের পাশে থাকা পুকুর পাড়ে। উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। স্থানীয়রা জানান, বহুদিন ধরে ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভোগান্তিতে ছিলেন তারা। নির্মাণকাজ শুরু হলে সবাই আশাবাদী ছিলেন, এবার দুর্ভোগ অবসান হবে। কাজ শেষের দুই মাসের মধ্যে এমন চিত্র দেখে তারা হতাশ। চন্দ্রপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নওশের শেখ বলেন, সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের খোয়া ও বিটুমিন ব্যবহার করা হয়েছে। আমরা বারবার আপত্তি জানালেও ঠিকাদার কর্ণপাত করেননি। উল্টো ভয় দেখিয়ে আমাদের চুপ করানো হয়েছে। একই গ্রামের জসিম মিনা বলেন, সড়কের দুই পাশে থাকা পুকুরের পাড়ে মাত্র তিনটি স্থানে প্যারাসাইলিং দেওয়া হয়েছে। বাকি অংশে কোনো সুরক্ষা ব্যবস্থা না থাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। বাগেরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শরীফুজ্জামান জানান, কচুয়া উপজেলার ফতেপুর থেকে গোপালপুর পর্যন্ত সড়ক পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজ শুরু হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি। ৯০ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুবা এন্টারপ্রাইজ কাজ শেষ করেছে ১৫ এপ্রিল। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সিকিউরিটি পিরিয়ড এখনো রয়েছে। সড়কের যেসব জায়গা ভেঙেছে, সেখানে ঠিকাদারকে পুনরায় কাজ করে দিতে হবে।
তা না হলে তাদের জামানতের অর্থ দিয়েই কাজ করানো হবে।