খানাখন্দ-জলাবদ্ধতায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল-খাজানগর-পোড়াদহ সড়ক কার্যত চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত সরু ও বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ। সামান্য বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এর সঙ্গে খাজানগরের চালকলগুলোর দূষিত বর্জ্য মিশে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক পরিণত হচ্ছে মৃত্যুকূপে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। বিশেষ করে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চালের মোকাম খাজানগর এলাকা পাড়ি দিতে প্রতিটি যানবাহনকে চলতে হচ্ছে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে। খানাখন্দে পড়ে একটি যানবাহন পড়ছে অন্যটির ওপর। অটো ও ছোট যানবাহন উল্টে যায়। স্থানীয়রা জানান, এই পথে খাজানগরের চালবাহী হাজারো ট্রাক প্রতিদিন যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এ ছাড়া সড়কের ধার দিয়ে গড়ে উঠেছে শত শত শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ জাতীয় মহাসড়কের চেয়েও এই পথে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ বেশি চলাচল করে। এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, সড়কের মাঝখানে নিচু, তার ওপর দুই পাশে পানি নামার কোনো ব্যবস্থা নেই। বর্ষা মৌসুম এলেই একটি যানবাহনকে এই পথ পাড়ি দিতে ঘণ্টার ওপরে সময় লেগে যাচ্ছে। তাছাড়া ছোট যানবাহন উল্টে প্রায়ই ক্ষতির শিকার হচ্ছেন মানুষ। সড়কের এই চরম বেহাল অবস্থার বিরূপ প্রভাব পড়ছে চালের ব্যবসায়। সড়কের কারণে বাড়ছে অর্থের ব্যয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে সড়কের পাশ ঘেঁষে অপরিকল্পিতভাবে ২৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। বাংলাদেশ মেজর অটো অ্যান্ড হাস্কিং চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রশিদ বলেন, সড়ক এমনিতেই ভাঙা। এর মধ্যে একদম সড়ক সংলগ্ন জেলা পরিষদের জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে অপরিকল্পিত ড্রেন। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিম বলেন, যেসব জায়গায় খুব বেশি খানাখন্দ সেসব জায়গায় দ্রুতই ঢালাই করে মেরামত করা হবে। সড়কের পাশে নির্মাণাধীন ড্রেনটি আপাতত কোনো কাজে আসবে না, স্বীকার করে মনজরুল করিম বলেন, এক বছরের বাজেটে এর বেশি কাজ সম্ভব না। আপাতত ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই শ মিটার ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। পরে বরাদ্দ এলে ড্রেনটি কোনো ক্যানেল এলাকা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।