কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড কখনোই কোনো ধর্মীয়, সামাজিক অথবা জাতীয়তার প্রতি কোনো বিদ্বেষমূলক কথা বা আচরণ সমর্থন করে না বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল মঙ্গলবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড বাংলাদেশের ৭০ বছরের অধিক পুরনো দেশীয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। এটি দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত এবং মধ্যবিত্তের ক্রয়-ক্ষমতার ভেতরে গুণগত মানসম্পন্ন সাবান, প্রসাধনী সামগ্রী ও ডিটারজেন্ট উৎপাদন ও বিপণনের মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করে। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে বিপুল পরিমাণ অর্থ ভ্যাট ও ট্যাক্সের মাধ্যমে জমা করে থাকে। এই প্রতিষ্ঠানে সর্বদা সকল ধর্মের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল এবং সকল ধর্মের ও জাতির মানুষ অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কাজ করছে। দেশের কর্মসংস্থানে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যেহেতু, বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ, তাই স্বভাবতই এই কোম্পানিতে মুসলমান কর্মকর্তা-কর্মচারীর আধিক্য। সেই জন্য প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে একটি মসজিদ আছে, যেখানে পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ আদায় করা হয় এবং অন্যান্য ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
গত ২০ এপ্রিল একজন কর্মকর্তা তার একজন অধীনস্থ সহকর্মীর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয় আলোচনার মধ্যে কিছু আপত্তিকর প্রসঙ্গ উপস্থাপন করেন, যা স্বভাবতই একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। পরে ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুরে শ্রমিকরা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করলে তাৎক্ষণিকভাবে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষদর্শীদের শুনানি করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ পান এবং বহিষ্কারাদেশ দেন। এছাড়াও প্রশাসন তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে হস্তান্তরের আশ্বাস দেন। ইতোমধ্যে কিছু বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঘটে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কোহিনুর কেমিক্যাল কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড কখনোই কোনো ধর্মীয়, সামাজিক অথবা জাতীয়তার প্রতি যে কোনো উপায়ে বিদ্বেষমূলক কথা বা আচরণ সমর্থন করে না। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠান শূন্য সহিষ্ণু নীতি অবলম্বন করে। এই প্রতিষ্ঠান দেশের প্রচলিত আইনকে সার্বিকভাবে ধারণ করে এবং এটি রক্ষায় বদ্ধপরিকর।
যেহেতু বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন ধরনের খবর প্রচারিত হচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাই আমরা মনে করেছি বিষয়টি জাতির সামনে পরিষ্কারভাবে তুলে ধরা প্রয়োজন। একই সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সামরিক বাহিনী এবং ধর্মীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ জনগণের প্রতি সুষ্ঠু ও সুন্দর সমাধানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশের কথাও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই