চলতি মাসেই বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচল শুরু করবে ১০০ বছরের এতিহ্যবাহী স্টিমার। এ লক্ষ্যে নিয়ে বরিশাল নৌবন্দরের পাশে স্টিমার ঘাটে কাজ চলছে। সম্প্রতি বরিশাল সফরে এসে নৌপরিবহন উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছিলেন, আশা করি অক্টোবরের মাঝামাঝি প্যাডেলচালিত সেই জাহাজ বা স্টিমার নিয়ে বরিশালে আসতে পারব। কমার্শিয়াল হয়তো নাও হতে পারে তবে আপনারা সমর্থন দিলে সবাইকে এতে চড়াব।
বিআইডব্লিউটিসির বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. জসীমউদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত রুট চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্যাডেলচালিত পিএস মাহসুদ চলবে। ১৭ অক্টোবর থেকে চলাচল শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেই লক্ষ্য নিয়ে স্টিমার ঘাট তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে নৌপথে যাত্রী কম। পর্যটকদের চাহিদার কারণে চলাচল করবে। স্টিমারটি ভাড়ায় দেওয়া হবে। এ জন্য দরপত্রও আহ্বান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, পিএস মাহসুদ ১৯২৮ সালে তৈরি করা হয়। এর দৈর্ঘ্য ২৩৫ ফুট। কয়লায় চালিত এ স্টিমারে ১৯৮৩ সালে ডিজেল ইঞ্জিন প্রতিস্থাপন করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা গেছে, ১৮৮৫ সাল থেকে ঢাকা-বরিশাল হয়ে খুলনা রুটে চলাচল করত প্যাডেলচালিত স্টিমার। এসব স্টিমার ছিল নদীপথের আভিজাত্য, নিরাপত্তার প্রতীক। কয়েক যুগ আগেও স্টিমার ছিল গতিতে সবচেয়ে দ্রুতগামী। তাই রকেট নামে ডাকা হতো। বিদেশি পর্যটকদের কাছে প্রথম পছন্দ ছিল স্টিমার সার্ভিস। প্রতি বছর অসংখ্য পর্যটক এ দেশে আসত শতবর্ষী স্টিমারে ভ্রমণ করতে। তবে ২০২২ সালের ২২ সেপ্টেম্বরের পর স্টিমার চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পিএস অস্ট্রিচ ও মাহসুদ ঢাকা-বরিশাল নৌপথে পর্যটকদের জন্য চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২০২৩ সালে ঈদের আগে ১৪ দিনের জন্য ফিরেছিল স্টিমারটি। কিন্তু যাত্রীদের তেমন আগ্রহ না থাকায় তিনটি ট্রিপ দেওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায়।