জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, ২০২৪ সালে একতরফা নির্বাচন হওয়ায় মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। আগামীতে এ ধরনের নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হলে এবারও মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। তিনি বলেন, হিটলার এবং মুসোলিনিও নির্বাচিত শাসক ছিলেন। কিন্তু তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিলেন। যা কিছুদিন আগেও আমরা বাংলাদেশে দেখেছি। যার কারণে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লব। তাই আবারও যদি একতরফা নির্বাচন হয় তাহলে হিটলার ও মুসোলিনির মতো দেশে স্বৈরতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা কায়েম হবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভাজন দেখা যাচ্ছে। দেশে এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। যা আগামী দিনের রাজনৈতিক আকাশে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসতে পারে। তিনি আরও বলেন, গেল বছরের ৫ আগস্ট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন বিবর্তন হয়েছে। ওই পরিবর্তন বিবর্তন থেকে রাজনীতিবিদদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। যারা এই বিপ্লবের নেতৃত্ব দিয়েছে তারা আমাদের সন্তান। অনেকেই এই বিপ্লবকে দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলতে চায়। কিন্তু আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনুরোধ করব, একাত্তরের সঙ্গে কোনো কিছু যাতে তুলনা না করে।
যারা বিপ্লব সংঘটিত করেছে, তারা একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু গত এক বছরে সারা দেশে চর দখলের মতো হাট, বাজার, টার্মিনাল, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, জমি, বাড়ি দখল হয়েছে। যা বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণ প্রজন্ম প্রত্যাশা করেনি। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা জরুরি। আরও উপস্থিত ছিলেন দলের নির্বাহী চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাহিদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকা, মোস্তফা আল মাহমুদ প্রমুখ।