বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. শায়ের গফুর, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান, সংবিধান সংস্কার কমিশনের সদস্য ফিরোজ আহমেদ, প্রাণ প্রকৃতি বিষয়ক লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক আমিরুল রাজিব নাঈম উল হাসান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এফডিসি থেকে পলাশী পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণের উদ্যোগের কারণে হাতিরঝিল জলাধার ও পান্থকুঞ্জ পার্কের পরিবেশ ইতিমধ্যেই ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। পাশাপাশি কাঁঠালবাগান-কাঁটাবন-নীলক্ষেতসহ ঢাবি এবং বুয়েটের সামগ্রিক পরিবেশ ও পরিবহন ব্যবস্থা সীমাহীন সংকটে পড়বে।
তারা বলেন, ২০১১ সাল থেকে এ প্রকল্প প্রতি বছর নবায়ন করার মাধ্যমে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে। রেলওয়ের ১২৮ একর জমি বিনামূল্যে প্রকল্পের জন্য ছেড়ে দিয়ে যে রাষ্ট্রীয় অর্থের অপচয় করা হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য সরকারের কাছে পাওয়া যায়নি। নানান রাজনৈতিক সরকারের আমলে সুবিধা আদায়ের জন্য এ ধরনের প্রকল্প চলমান রাখা হলেও, অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্যমূলক চুক্তি বজায় রেখে কেন এই প্রকল্প এখনো চলছে?
প্রসঙ্গত, গত ১০ সেপ্টেম্বর পরিবেশ সচেতন নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের যৌথ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ গাছ রক্ষা আন্দোলন-এর সমন্বয়কসহ ৯ বিশিষ্ট নাগরিক পান্থকুঞ্জ ও হাতিরঝিলে চলমান এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ বন্ধে একটি রিট পিটিশন করেন। উক্ত পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে মহামান্য আদালত পিটিশনকারীদের পক্ষে রুল দিয়ে ‘পান্থকুঞ্জ পার্ক’ ও হাতিরঝিল জলাধারের উন্মুক্ত স্থানে যে কোনো ধরনের নির্মাণকাজের ক্ষেত্রে তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেন।