সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করা হলে তা জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়িয়েই অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
সেই রক্তের মর্যাদা রক্ষা করতেই নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে হবে। অন্যথায় জনগণ ক্ষমা করবে না। গতকাল সকালে রাজধানীর মহাখালী কলেরা হাসপাতালের সামনে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের প্রথমবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। গণসমাবেশ শেষে একটি গণমিছিল বের হয়, যা মহাখালী রেলগেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজার চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ হয়। ডা. তাহের বলেন, দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে হলে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) চালু করতে হবে। এ পদ্ধতি চালু হলে নির্বাচনি অপরাধ থাকবে না, ভোট চুরি ও কেন্দ্র দখল হবে না। থাকবে না টাকার খেলা। যাদের প্রয়োজনীয় জনসমর্থন নেই তারাই এ পদ্ধতির বিরোধিতা করছেন। জামায়াতের ঢাকা উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, জিয়াউল হাসান, জামাল উদ্দিন প্রমুখ। এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কোনো আবেগে তাড়িত হয়ে, কোনো দলের চাপে, কোনো পরাশক্তি-আধিপত্যবাদের চাপে আপনি (প্রধান উপদেষ্টা) নতি স্বীকার করবেন না। আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে, এই নির্বাচনে কারও চাপের সামনে আপনি মাথা নত করবেন না। জামায়াতে ইসলামী আপনার পাশে থাকবে। গতকাল পল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। দলটির ঢাকা দক্ষিণের আমির মো. নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা দক্ষিণের নায়েবে আমির আবদুস সবুর ফকির, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য দেলাওয়ার হোসেন প্রমুখ।