টেকসই পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তুলতে কাজ করছে এমন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। ‘আমার শহর, আমার দায়িত্ব’-এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দায়িত্বশীল নাগরিক সমাজ গড়ে তুলতে নাগরিক পদক দেওয়ার আয়োজন করছে ডিএনসিসি।
গতকাল রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসি নগরভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ এ বিষয়ে জানান। তিনি বলেন, নাগরিক উদ্যোগ, পরিবেশবান্ধব চিন্তা ও সামাজিক দায়িত্ববোধকে স্বীকৃতি ও উৎসাহ দিয়ে টেকসই নগর ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা সম্ভব। এই উদ্যোগ তরুণপ্রজন্মকেও সামাজিক নেতৃত্ব ও উদ্ভাবনী চর্চায় যুক্ত করতে সহায়তা করবে। শিক্ষা, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি-সব ক্ষেত্রেই যারা ইতিবাচক পরিবর্তনের চালক, তারাই নাগরিক পদকের প্রকৃত দাবিদার।
প্রশাসক আরও বলেন, ‘আমরা এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মান জানাতে চাই, যারা শহরের উন্নয়নে অর্থবহ অবদান রাখছেন। শুধু সম্মান জানানোই নয়, পর্যায়ক্রমে তাদের সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায়ও অন্তর্ভুক্ত করা হবে’
নাগরিক পদক-২০২৫ এ ছয়টি বিভাগে মোট ৩০ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেওয়া হবে। ব্যক্তি উদ্যোগ থেকে শুরু করে সামাজিক সংগঠন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ক্ষুদ্র ব্যবসা, মিডিয়া বা কনটেন্ট নির্মাতা এবং উদ্ভাবক বা স্টার্টআপ-সব ক্ষেত্রেই যারা শহরের উন্নয়নে সৃজনশীল ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন, তারা মনোনীত হওয়ার সুযোগ পাবেন। পুরস্কারের জন্য চলতি মাস থেকেই মনোনয়ন গ্রহণ করা হবে ডিএনসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে।
আগ্রহী ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনগুলো নির্ধারিত ফরমে প্রকল্পের বিবরণ, ছবি ও ভিডিওসহ আবেদন জমা দিতে পারবে।
যাচাইবাছাইয়ের জন্য গঠিত বাছাই কমিটি প্রাথমিকভাবে আবেদনগুলো পর্যালোচনা করবে এবং পরে জুরি বোর্ডের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। এই জুরি বোর্ডে থাকবেন নগর পরিকল্পনাবিদ, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ, মিডিয়া প্রতিনিধি ও ডিএনসিসির একজন সাবেক কর্মকর্তা, যারা অভিজ্ঞতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের দেওয়া হবে সিটি করপোরেশন স্বীকৃত সনদপত্র, একটি সম্মানসূচক ক্রেস্ট ও মেডেল এবং প্রতীকী আর্থিক সম্মাননা।