পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সম্মান শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার ইসলাম। গত জুনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আয়শা নামের এক তরুণী তাকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ফ্র্যাঞ্চাইজি হওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে সাড়া দিলে অর্থ আয়ের জন্য তাকে ওয়ে ফেয়ার নামে একটি অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে যোগদানের আহ্বান করে। সেখানে যোগদানের পর জানতে পারেন প্রতিষ্ঠানটি ফার্নিচার সামগ্রী বিক্রি করে। ফার্নিচার সামগ্রীর বিক্রি বাড়াতে তাকে একটি টেলিগ্রাম গ্রুপে যুক্ত করে। পরে প্রতারক চক্র তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ১৮ লাখ টাকা নেয়। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট সময় পর আর তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতারণার শিকার এ শিক্ষার্থী অজ্ঞাত প্রতারকদের আসামি করে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে। জুন মাসে তার মতো প্রতারণার শিকার আরও তিনজন অজ্ঞাত প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছে।
ট্রাইব্যুনালের স্টেনো মো. শরীফুল বলেন, এ চক্রের শিকার বিভিন্ন বয়সি মানুষ ট্রাইব্যুনালে এসে পরামর্শ চায়। তার হিসেবে প্রতারণার শিকার অর্ধ শতাধিক মানুষ ট্রাইব্যুনালে এসেছে। সবাই লাখ লাখ টাকা দিয়েছে প্রতারক চক্রকে। প্রতারক চক্র বরিশাল থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও জানান, চলতি মাসে একই ধরনের অভিযোগে চারটি মামলা হয়েছে। অন্যরা মামলা করবে বলে জানিয়েছে। কিন্তু কেউ শুধু আইডির নাম ছাড়া আর কিছু জানে না। যে চারটি মামলা হয়েছে সেগুলোতে কোনো নামধারী আসামি নেই। তাই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বাদীর নালিশি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট থানাকে মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বরিশাল জেলা সাইবার নিরাপত্তা কমিটির সদস্য প্রকৌশলী জিহাদ রানা বলেন, অনলাইন ব্যবহারকারীদের সচেতন হওয়া জরুরি। কারণ অনলাইনে রাতারাতি ধনী হওয়ার কোনো উপায় নেই। পরিশ্রম করে অর্থ আয় করতে হয়।