মাদক ও দুর্নীতি সরকার নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেছেন, শুধু মাদকের বাহকদের ধরলে হবে না, গডফাদারদেরও ধরতে হবে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি। সরকারের পক্ষ থেকে সবসময় দাবি করা হয় দেশে মাদকের বিস্তার কমে আসছে।
এ বিষয়ে কোনো পরিসংখ্যান আছে কিনা এমন এক প্রশ্নে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কিন্তু কোনোদিন এটা দাবি করিনি। দুটি জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারিনি- একটি হলো মাদক আরেকটি দুর্নীতি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু মাদক আমরা কমিয়ে এনেছি এটা আমি কোনোদিন বলিনি। এটা কমিয়ে আনতে হবে।’
মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র করে মাদক বন্ধ করা যাবে না জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদক যাতে বাইরে থেকে ঢুকতে না পারে, যারা মাদক ঢুকতে সাহায্য করে তাদের সংবাদও যদি আমাদের দেয়, তবে আমাদের জন্য ভালো। আমাদের বাহিনী যদি এর সঙ্গে যুক্ত থাকে সে তথ্য পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।’
১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা খরচ করে সরকার দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র করছে বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘মাদকের কুফলের বিষয়ে আমাদের সব শ্রেণির লোককে বুঝতে হবে। যারা মাদক বহন করতেছে, আর যারা গডফাদার এদের বিষয়ে আমরা প্রোপার অ্যাকশন নেব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা শুধু মাদক বহনকারীদের ধরতে পারি, গডফাদারদের খুব একটা ধরতে পারছি না। আপনাদের যেভাবেই হোক গডফাদারদের ধরতে হবে। আপনাদের হাতিয়ার দেওয়া হয়েছে, ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্প দেওয়া হলো। আপনাদের লোকবল বাড়ানোর বিষয়টি, সেটাও করে দেব। কিন্তু গডফাদার ধরতে হবে। বহনকারী ধরে কিন্তু লাভ নেই। গডফাদার ধরলে এটা পুরোপুরি বন্ধ হবে।’