বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিমূলক চুক্তি (ইপিএ) বাস্তবায়নে বিকেএমইএ’র সহযোগিতা চায় জাপান। গতকাল বিকেএমইএ’র ঢাকা কার্যালয়ে এ নিয়ে নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জাপান সরকারের ইপিএ-সংক্রান্ত প্রতিনিধিদল। বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান এ দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। উপস্থিত ছিলেন বিকেএমইএ’র সিনিয়র সহসভাপতি অমল পোদ্দার, সহসভাপতি মো. শামসুজ্জামান ও পরিচালক রাকিব সোবহান মিয়া। জাপান সরকারের ইপিএ প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো জাপানের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল কোবাইশি ইরুজু।
জাপানি প্রতিনিধিরা বলেন, প্রচুর চাহিদা এবং পরিবেশবান্ধব হওয়া সত্ত্বেও জাপানের তৈরি নতুন অটোমোবাইল বাংলাদেশের বাজারে অপ্রতুল। কারণ এখানে নতুন গাড়ির শুল্কহার অত্যন্ত বেশি। দেশ দুটির মধ্যে ইপিএ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অতিরিক্ত শুল্কারোপের কারণে ভবিষ্যতে রপ্তানি প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি বলেন, বর্তমানে জাপানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০২৬ সালে মধ্যমে আয়ের দেশে উত্তরণের পর ৮ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হবে। তবে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে জাপান।