আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে গুম প্রতিরোধে আইন প্রণয়ন করতে যাচ্ছে। এতে কমে আসবে গুমের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা। গতকাল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, কমনওয়েলথ চার্টারের গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধ বিবেচনায় নিয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
পাশাপাশি বিচারিক প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে আদালতগুলো পুরোপুরি ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বিচারক নিয়োগে স্বচ্ছতা এবং মেধাবৃত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে বলেও জানান।
তিনি বলেন, আমরা খুব শিগগিরই বিচার ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি স্বচ্ছতা ও দক্ষতা নিশ্চিত করার জন্য। কাজ এখনো শেষ হয়নি, তবে আমরা প্রকৃতপক্ষে প্রক্রিয়াটি শুরু করেছি এবং গত ছয় মাসে ডিজিটালাইজেশনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পেরেছি। আগামী ছয় মাসে, আমাদের কাছে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, ন্যায়বিচার এবং ডিজিটাল নিবন্ধন সংক্রান্ত আইন থাকবে। আমরা উচ্চতর বিচার ব্যবস্থায় বিচারক নিয়োগ সংস্কার করব এবং জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে স্বচ্ছতা ও যোগ্যতা নিশ্চিত করব।
সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ নিয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমরা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশও সংশোধন করেছি। অত্যন্ত পরামর্শমূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এর একটি সংশোধনী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলো কিন্তু বিচ্ছিন্ন পরিবর্তন নয়; এগুলো একসঙ্গে আমাদের আইনের শাসন, সুশাসন, বিচার বিভাগীয় স্বাধীনতা এবং মানব মর্যাদার প্রতি অঙ্গীকারের প্রতিফলন সেই মূল্যবোধগুলো যা কমনওয়েলথ সনদের মূল চেতনাকে ধারণ করে।