লক্ষ্মীপুরে হেফজ বিভাগের ছাত্র সানিম হোসাইনের (৮) মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি অধ্যক্ষ বশির আহমদসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। গতকাল শহরের আল মুঈন ইসলামী অ্যাকাডেমির সামনে মানববন্ধন করেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে উত্তেজিত লোকজন মাদরাসার বাইরের অংশের কাচ ভাঙচুর করেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শিক্ষকরা বলছেন সানিম আত্মহত্যা করেছে মাদরাসার তিন তলায়। কিন্তু তার লাশ পাওয়া গেছে নিচ তলায়। নিচে নামানোর কোনো ফুটেজ মাদরাসা কর্তৃপক্ষ দেখাতে পারেনি। অভিযুক্তরা সানিমকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সানিমের বাবা হুমায়ুন কবির বলেন, আমার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও গতকাল মাদরাসার অধ্যক্ষের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে ঘটনার দিন তিনি জানান, খাওয়ার বিরতির সময় সবাই খেতে গেলেও সানিম যায়নি। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, সে গামছা নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করে। সেখান থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর ফাঁড়ি থানা পুলিশের ইনচার্জ (দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসআই ফজলুল করিম বলেন, মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ২ নম্বর আসামি অধ্যক্ষসহ বাকিরা পলাতক। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর।
গত ১৩ মে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় মাদরাসা থেকে সানিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর তার মৃত্যু নিয়ে নানান রহস্যের সৃষ্টি হয়। সানিম রায়পুর উপজেলার চরবংশী গ্রামের হুমায়ুন কবির মাতব্বরের ছেলে।