আসন্ন ঈদে সড়কে শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে লক্কর-ঝক্কর, ফিটনেসবিহীন বাস চলাচল রোধে যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে আমিনবাজার ও বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বিভিন্ন গ্যারেজ ও গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে যৌথ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে বিআআরটিএ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ যৌথভাবে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে। এসময় গাবতলী বেড়িবাঁধ এলাকার গাড়ির বডি তৈরির প্রতিষ্ঠান মাওয়াহীদ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে অভিযান শুরু হয়। অভিযানে অংশ নেন মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রাহাত গাওহারীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে, দেশের প্রচলিত আইনে ফিটনেসবিহীন যানবাহন রাস্তায় চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিআরটিএর তথ্য বলছে, চলতি বছরের ১২ মার্চ পর্যন্ত দেশে আনফিট গাড়ির সংখ্যা ৬ লাখ ১১ হাজার ১৪১। এর মধ্যে কিছু এখন আর রাস্তায় চলাচল করে না।
বিআরটিএর হালনাগাদ তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ২০ হাজার ৮৬৮টি বাস, ১১ হাজার ১৮৫টি মিনিবাস, ৫৭ হাজার ৪১টি ট্রাক, ৭৩ হাজার সাতটি প্রাইভেটকার, ৩০ হাজার ৫৩৮টি মাইক্রোবাস, ৭২ হাজার ১৫৯টি পিকআপ ভ্যান, ৩৯ হাজার ৫৯১টি ট্রাক্টর, ১৪ হাজার ৩৮০টি হিউম্যান হলার, ৩ হাজার ৮১১টি অ্যাম্বুলেন্স, ২ লাখ ৫ হাজার ৬৪৭টি অটোরিকশার ফিটনেস বা হালনাগাদ ফিটনেস সনদ নেই।
বিডি-প্রতিদিন/শআ