সিলেটে পুলিশের পৃথক বিশেষ অভিযানে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন স্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
দক্ষিণ সুরমার চাঁদনীঘাটের মাছবাজার এলাকায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অনলাইনে জুয়া খেলার সময় তিনজনকে হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন— কোতোয়ালী থানার দেওয়ানবাগ (বকুল মিয়ার কলোনী) এলাকার শাহাদ মিয়ার ছেলে মো. আক্তার মিয়া (৩৫), দক্ষিণ সুরমা থানার শিববাড়ী ধইনপুর এলাকার মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে মো. এনাম মিয়া (২৫) এবং কোতোয়ালী থানার মাছিমপুর এলাকার রহমত আলীর ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম (৩৮)। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অন্যদিকে জালালাবাদ থানার শিবেরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মুশফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাগইল বাইপাস এলাকায় চেকপোস্টে একটি ট্রাক আটক করা হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় জিরা ও কাভেরী মেহেদী উদ্ধার করা হয় এবং ট্রাকে থাকা একজনকে আটক করা হয়। তিনি হলেন— গোয়াইনঘাট থানার পাতলি কোনা এলাকার মৃত মন্তাজ আলী ও আছিয়া খাতুনের ছেলে মো. মনির উদ্দিন (৫২)। অভিযানকালে জব্দ করা হয়েছে ২১০০ কেজি জিরা, ১৪৪০ পিস কাভেরী মেহেদী। ট্রাকসহ জব্দকৃত পণ্যের আনুমানিক মূল্য ২০ লাখ টাকার বেশি। এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আটককৃত আসামিকে আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।
এছাড়া কোতোয়ালী থানার লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর মদিনা মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও চার জুয়াড়িকে আটক করে। তারা হলেন— হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার কুশিয়া খাগাউড়া গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে বর্তমানে পাঠানটুলা শ্রাবণী আবাসিক এলাকার বাসিন্দা এমদাদ মিয়া (২৩), জালালাবাদ থানার আখালিয়া নোয়াপাড়ার কোরবান আলীর ছেলে রাব্বি আহমদ (২০), সিলেটের শাহপুর তালুকদারপাড়ার বাতির আলীর ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৫২) এবং বিয়ানীবাজার উপজেলার টিকরপাড়া বাহাদুরপুর গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে বর্তমানে পাঠানটুলা শ্রাবণী আবাসিক এলাকার কামরান আহমদ (২৩)। তাদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় ননএফআইআর মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এসব অভিযান ও গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এসএমপির এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন