সিলেটে মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিকিউরিটি গার্ডকে ফাঁসাতে গিয়ে এক যুবক নিজেই ফেসে গেলেন।
তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার নাম রিপন মিয়া (৩৩)। তিনি হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার তিমিরপুর এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। বর্তমানে তিনি সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানাধীন উত্তর জাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট নগরীর শাহপরাণ এলাকায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন রিপন মিয়া। তখন ফোনকলে তিনি দাবি করেন টিলাগড় সরকারি কলেজের সামনে আফজল ও তার সঙ্গীরা রিপনের মোবাইল ফোন ও নগদ অর্থ ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এই ফোনকলের পরে শাহপরাণ থানার ডিউটি অফিসার পিএসআই মেহেদী আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে রিপনের দেওয়া তথ্যানুযায়ী পুলিশ আশপাশে বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে একটি গ্যারেজের সামনে সিকিউরিটি গার্ড জুনেদ মিয়াকে খুঁজে পায়। তখন জুনেদকে দেখে অভিযোগকারী রিপন আক্রমণ করে ও বেধড়ক মারধর শুরু করলে পুলিশ তাকে নিয়ন্ত্রণে এনে উভয়কে থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগকারী রিপন মিয়া থানায় এসে জুনেদ মিয়া, আফজল এবং আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত ছিনতাইয়ের অভিযোগ দাখিল করেন। তবে ওই সময় পুলিশ অভিযোগকারী রিপন মিয়ার বক্তব্য সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তদন্ত শুরু করে। তখন জানা যায়, রিপন ও আফজল ওই স্থানে মোবাইল ফোনে জুয়া খেলছিলেন এবং পাওনা টাকা নিয়ে হাতাহাতির একপর্যায়ে ওই স্থানের সিকিউরিটি গার্ড জুনেদ তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধমূলকভাবে রিপন ৯৯৯-এ মিথ্যা ছিনতাইয়ের অভিযোগ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদে রিপন স্বীকার করেন, ‘কোনো ছিনতাই হয়নি এবং সিকিউরিটি গার্ডকে ফাঁসাতেই তিনি এই অভিযোগ করেন।'
পুলিশ নিশ্চিত হয় ঘটনাটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সাজানো হয়েছিল। ফলস্বরূপ, ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় রিপন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে মিথ্যা ছিনতাইয়ের নাটক সাজিয়ে সিকিউরিটি গার্ডকে ফাঁসাতে গিয়ে রিপন নামের এক যুবক নিজেই ফেসে গেছেন। এই ঘটনায় রিপনকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ