হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ শহরে ভয়াবহ সংঘর্ষের ছয় দিন পর আহত রিমন মিয়া (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি নবীগঞ্জ উপজেলার আনমনু গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আওয়ালের ছেলে। শনিবার দিবাগত রাতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. কামরুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সংঘর্ষে আহত পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের অ্যাম্বুলেন্স চালক ফারুক মিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ নিয়ে ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের দুইজন নিহত হলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই বিকেলে নবীগঞ্জ শহরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের খসরু মিয়ার সঙ্গে আশাহীদ আলী আশার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে আনমনু ও পূর্ব তিমিরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর জেরে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও দোকানপাটে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গত সোমবার (৭ জুলাই) সকালে উভয় গ্রামের মানুষ পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতিমূলক বৈঠক করেন। বিকেল ৩টার দিকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে সংঘর্ষে জড়ান দুই গ্রামের শত শত মানুষ। এতে শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয় এবং অন্তত শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ওসি শেখ মো. কামরুজ্জামান জানান, রিমন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সংঘর্ষে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ