সিলেটের বিয়ানীবাজার পৌরশহরসহ পুরো উপজেলায় এবার স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে ১২টি পশুর হাট বসার কথা রয়েছে। তবে অস্থায়ী পশুর হাট বসানো নিয়ে এখনো পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের তেমন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। যদিও স্থায়ী পশুর হাটকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। বাংলাদেশে আগামী ৭ জুন ঈদুল আযহা উদযাপিত হতে পারে। এ বছরের ঈদুল আযহাকে ঘিরে পশু ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছেন। গৃহস্থালী ও খামার থেকে গরু সংগ্রহ শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বিয়ানীবাজার প্রাণী সম্পদের তথ্যমতে, বিয়ানীবাজারে এবার কোরবানি যোগ্য পশুর সংখ্যা বেশি। কোরবানির জন্য উপজেলায় পশুর কোনো সঙ্কট নেই বলেও জানা যায়।
বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মবিন হাই বলেন, ‘উপজেলায় এবার ১২ হাজার ৬৬টি কোরবানি যোগ্য পশু রয়েছে। অথচ; আমাদের বিয়ানীবাজারে ১০ হাজার ৬শ’টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। কোরবানি ঈদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। আমরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি, যাতে আমাদের গবাদিপশুর বাজার স্থিতিশীল থাকে। পশুগুলো আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, তা নিয়ে খামারিদের সঙ্গে কয়েক দফায় কথা বলা হয়েছে বলা হয়েছে।’
অপরদিকে ঈদুল আযহার ৯দিন বাকি থাকলেও এখন থেকেই কোরবানির পশুগুলো স্থায়ী ও অস্থায়ী হাটে তুলতে শুরু করেছেন মালিক, খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
জানা যায়, উপজেলার স্থায়ী ছয়টি হাটের সাথে আরও ছয়টি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেয়া হতে পারে। বিয়ানীবাজার পৌরসভার পিএইচজি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ ও ছোটদেশ বাগান ওয়াব আলীর দোকানের সম্মুখসহ আরোও কয়েকটি জায়গায় অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দিতে পারে। এছাড়াও রামধা, দুবাগ, বৈরাগীবাজার, মাথিউরা বাজার, বারইগ্রাম ও আছিরখাল বাজারে স্থায়ী হাট চলবে।
বিগত কয়েক বছর ধরে বিয়ানীবাজারের হাটগুলোতে ভারতীয় পশুর তেমন দেখা মেলে না। তবে কিছুসংখ্যক সাদা বলদ গরু দেখা যায়। সীমান্তে কড়াকড়ি থাকলেও ঈদুল আযহাকে সামনে কিছু ভারতীয় গরু প্রতিবারই অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করে। এবার পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশ সীমান্তেও। প্রায় প্রতিটি সীমান্ত পয়েন্টে বিজিবি ও বিএসএফ কড়া নজরদারি রয়েছে। ফলে যারা চোরাকারবারে জড়িত তারা ভয়ে সীমান্তে যেতে পারছে না। তারপরও গবাদি পশুর সঙ্কট ও উচ্চমূল্যের আশঙ্কা নেই বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউনও) গোলাম মুস্তাফা মুন্না বলেন, অস্থায়ী হাট বসানোর দাফতরিক প্রক্রিয়া চলছে। স্থায়ী ও অনুমোদিত অস্থায়ী হাট ছাড়া, রাস্তা, বিভিন্ন সড়কের মোড়, গ্রাম্যহাটে পশুর হাট বসালে জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত