ঈদুল আজহা উপলক্ষে দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ পশুর হাট হিসেবে পরিচিত যশোরের শার্শা উপজেলার সাতমাইল পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে। ঈদের কুরবানিকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি ও প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এ হাটে। প্রতিদিনই বাড়ছে পশুর সংখ্যা, একই সঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়।
ক্রেতারা বলছেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর গরুর দাম বেশি। তবে খামারিরা বলছে উল্টো কথা। গরুর লালন পালনে পশু খাদ্যের দাম অনেক বেশি সে তুলনায় গরুর দাম অনেক কম। পশু হাটের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ ট্রাক গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখান থেকে সরবরাহ হচ্ছে। বাগআচড়া সাতমাইল পশুর হাট এবছর পশু বিক্রিতে এ অঞ্চলে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। জেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত খামারিরা নিয়ে আসছেন নিজ নিজ বাড়ি বা খামারে লালন-পালন করা গরু, ছাগল।
বড় ব্যবসায়ী ছাড়াও অনেক ছোট খামারি ও চাষিরা গরু ছাগল নিয়ে আসছে এই হাটে। উপজেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে শার্শা উপজেলায় এ বছর কুরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে মোট ১৪ হাজার ২২৬টি গবাদিপশু, যার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার ২০০টি গরু এবং ১ হাজার ২৬টি ছাগল রয়েছে।
সাতমাইল হাটে শুধু স্থানীয় নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ক্রেতাদের দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা জেলার পাইকার ও কুরবানিদাতারা এখান থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
হাট পরিচালনায় নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাটে পশু পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, এবং হাট ব্যবস্থাপনা সুষ্ঠু রাখতে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে মনিটরিং টিম।
শার্শা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা তপু সাহা জানান, পশুগুলোকে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। হাটে কোনো অসুস্থ পশু যাতে প্রবেশ না করে তা নিশ্চিত করতে পশু চিকিৎসক ও সহকারী টিম সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন।
সাতমাইল হাটে আগত এক খামারিরা বলছেন এ বছর হাটে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। বাজারের পশু বিক্রেতারা জানান, বাজারে আমদানিকৃত পশুগুলো সুস্থ ও উন্নত, দামও তুলনামূলকভাবে হাতের নাগালে।
বিডি প্রতিদিন/নাজমুল