বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য আসামের জেলাগুলোতে বসবাসকারী ভূমিপুত্র ও নাগরিকদের নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ছাড়পত্র দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত জেলাগুলোর ভূমিপুত্র এবং ভারতীয়দের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়ার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা একটি বিশেষ প্রকল্প অনুমোদন করেছে। তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যের ‘ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রত্যন্ত’ অঞ্চল যেখানে বাংলাদেশি বংশো™ূ¢ত মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেখানকার ভূমিপুত্র ও ভারতীয় নাগরিকদেরকে অস্ত্রের লাইসেন্স দেওয়া হবে।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত নোটে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পটি বেআইনি হুমকি প্রতিরোধকারী হিসেবে কাজ করবে এবং ভূমিপুত্র ও ভারতীয় নাগরিকদেরকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করবে।
এতে আরও বলা হয়েছে ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশি বংশো™ূ¢ত মুসলিম অধ্যুষিত আসামের ধুবড়ি, নগাঁও, মরিগাঁও, বরপেটা, দক্ষিণ সালমারা এবং মানকাচর, গোয়ালপাড়া জেলায় বসবাসকারী ভূমিপুত্র ও ভারতীয় নাগরিকরা ক্রমাগত নিরাপত্তাহীনতার সম্মুখীন হচ্ছে, বিশেষ করে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে।’
এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, ‘রাজ্য সরকার মূল বাসিন্দাদের সুরক্ষা প্রদান করছে এবং অস্ত্র লাইসেন্স তাদেরকে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরপরই এই প্রকল্প কার্যকর হবে। তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আসাম-বাংলাদেশ সীমান্তের একটা বড় অংশ অরক্ষিত। এই অংশ দিয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রায়শই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ অস্ত্র রাখার লাইসেন্স পেলে সীমান্তে সংঘর্ষ বাধতে পারে।