চলতি মাসের মাঝামাঝিতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তিনি সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান।
এই সফরে তিনটি দেশের নেতারা ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন যে, ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে তার দেশ যেন কোনও হামলা না চালায়।
যুক্তরাষ্ট্র হামলা চালালে ইরান সৌদি, কাতার এবং আমিরাতে হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তারা।
সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই তিন দেশের নেতা ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন- তিনি যেন ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তির চেষ্টা যেন চালিয়ে যান।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ এবং কাতারের আমির তামিম আল থানি ট্রাম্পের কাছে আশঙ্কা করেন, যদি ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোত কোনও ধরনের হামলা হয় তাহলে ইরান পাল্টা সৌদি, আমিরাত এবং কাতারে হামলা চালাতে পারে। দেশগুলোতে মার্কিন ঘাঁটি থাকায় তারা হামলার আশঙ্কা করছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এখন দখলদার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর ব্যাপারে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে গত সপ্তাহে এ বিষয়ে কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দেন। তিনি জানান, ইরানের সঙ্গে তাদের পারমাণবিক আলোচনা বেশ ভালোভাবে এগোচ্ছে।
দখলদার ইসরায়েল আপাতত ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রকে আগে থেকে খুব বেশি অবহিত করবে না। সূত্র: এক্সিওস, টাইমস অব ইসরায়েল, আনাদোলু এজেন্সি, ওয়াল্লা নিউজ
বিডি প্রতিদিন/একেএ