বাংলাদেশে মসলার যে বাজার তার প্রধান মৌসুম ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। সেই কাক্সিক্ষত ঈদের আর সাকল্যে বাকি সপ্তাহখানেক সময়। কিন্তু মসলার বাজারে দেখা নেই ক্রেতার। দেশের অন্যতম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা মসলার পসরা নিয়ে বসে থাকলেও নেই ক্রেতার প্রত্যাশিত উপস্থিতি। অথচ সরবরাহ ও মজুত দুটোই রয়েছে পর্যাপ্ত। ক্রেতাদের আনাগোনা না থাকায় ভরা মৌসুমে নিম্নমুখী মসলাজাতীয় পণ্যের দাম। চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘এবার পর্যাপ্ত মসলা আমদানি হয়েছে। মজুতও রয়েছে প্রচুর। কিন্তু কোরবানি ঘনিয়ে এলেও বাজারে নেই প্রত্যাশিত ক্রেতার উপস্থিতি।’ সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের (বিটিটিসি) দাবি- বাংলাদেশে প্রতি বছর ৫০ ধরনের ৩৫ লাখ টনের মতো মসলাজাতীয় পণ্যের চাহিদা রয়েছে।
চাহিদার ৪০ থেকে ৪২ শতাংশ পূরণ হয় আমদানির মাধ্যমে। প্রতি বছর রমজান ও কোরবানিকে ঘিরে বেড়ে যায় মসলার চাহিদাও। দেশের মসলার বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর কোরবানির এক মাস আগে থেকে দেশের প্রধান পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে শুরু হয় মসলা ক্রেতাদের আনাগোনা। সময় যত ঘনিয়ে আসে তুঙ্গে চলে বেচাবিক্রি। এবার ঈদুল আজহা দরজায় কড়া নাড়লেও খাতুনগঞ্জে নেই ক্রেতাদের প্রত্যাশিত উপস্থিতি। ব্যবসায়ীরা জানান, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৫ থেকে ৭ টাকা টাকা। চায়না রসুনে ২০ থেকে ২৫ টাকা টাকা ও আদার দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমেছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। তাই পুরো বাজারে রাজত্ব করছে দেশি পেঁয়াজ। খাতুনগঞ্জে ভারতীয় জিরা বিক্রি হয়েছে কেজি ৫৮৫ টাকা। আফগান জিরা ৬১৫ টাকা। ভারতীয় হলুদ ২৩১ টাকা কেজি। দারুচিনি (চীনা) ৩৭০ টাকা। দারুচিনি (ভিয়েতনাম) ৪৪০ টাকা। লবঙ্গ ১ হাজার ২০০ টাকা। এলাচি ৩ হাজার ৯৫০ টাকা থেকে ৪ হাজার ৫০ টাকা। গুল মরিচ ১ হাজার ১০০ টাকা এবং তেজপাতা ১০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।