ষাঁড়ের গায়ের রং ও আকার-আকৃতিতে হাতির মতো হলেও স্বভাব খুবই শান্ত প্রকৃতির। তাই নাম রাখা হয়েছে ‘ঠান্ডাভোলা’। বিক্রির জন্য তোলা হবে এবারের কোরবানির হাটে।
ধারণা করা হচ্ছে- যশোরের হাট মাতাবে ষাঁড়টি। অভয়নগর উপজেলার ফুলগাতি গ্রামের প্রসেনজিৎ রায়ের বাড়িতে বেড়ে ওঠা ষাঁড়টির উচ্চতা ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি। ওজন প্রায় ১ হাজার ৩০০ কেজি বা সাড়ে ৩২ মণ। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
প্রসেনজিৎ রায় জানান, প্রতিদিন দুবার গোসল করাতে হয় ঠান্ডাভোলাকে। গমের ভুসি, ভুট্টার গুঁড়া, চালসহ নানারকম পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়। শুধু তার খাবারের পেছনেই প্রতিদিন খরচ হয় ৭০০ টাকা। ঠান্ডাভোলাকে লালন-পালনে ১০ লাখ টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। তাই ১২ লাখ টাকা দাম চাওয়া হয়েছে। এখনো কোনো ক্রেতা যোগাযোগ করেননি।
তবে প্রতিদিন অসংখ্য উৎসুক মানুষ ষাঁড়টিকে একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছেন। প্রসেনজিতের মা ঝর্ণা রায় ঠান্ডাভোলার যত্নে সবচেয়ে বেশি সময় দেন। তিনি বলেন, ‘গত চার বছর সন্তানের মতো মমতায় তাকে বড় করেছি। এবার কোরবানির হাটে তোলা হবে জেনেই মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তবে বিক্রি তো করতেই হবে।’
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ