নওগাঁর হাটগুলোতে কোরবানির গবাদিপশুর কেনাবেচা জমে উঠেছে। হাটগুলোতে গরু উঠছে প্রচুর। হাটে বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি দেখা যাচ্ছে।
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ছোট-মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। এসব গরু যৌক্তিক দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে বড় গরু আমদানির তুলনায় চাহিদা কম হওয়ায় প্রত্যাশার চেয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটে যে পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে, সে তুলনায় ক্রেতা নেই। স্থানীয় লোকজন কোরবানি দেওয়ার জন্য গরু কিনলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বড় বড় বাজারের ব্যাপারী ও গরু ব্যবসায়ীরা গরু কিনছেন না। ফলে বেচাবিক্রি তুলনামূলক কম। নওগাঁতে সাধারণত কোরবানি ঈদের দুই-তিন সপ্তাহ আগে থেকেই গবাদিপশুর হাটগুলোতে বেচাবিক্রি জমে যায়। সে তুলনায় এবার ঈদের বাকি আর ১০-১১ দিন, কিন্তু পশুর হাটে কেনাবেচা খুব একটা জমেনি।
চৌবাড়িয়া পশুর হাটের ইজারাদারের প্রতিনিধি সাইদুল ইসলাম বলেন, গতবারের তুলনায় এবার হাটে গরুর আমদানি বেশি। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকেই হাটে কোরবানি উপলক্ষে প্রচুর গরুর আমদানি হচ্ছে। তবে আমদানির তুলনায় বেচাবিক্রি কম। ছোট-মাঝারি গরু বেশি বিক্রি হচ্ছে। সে তুলনায় বড় গরু বিক্রি হচ্ছে কম। ঈদের আগে এখানে আর দুই দিন হাট বসবে। এই দুই হাটে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বড় বড় বাজারের বেপারী ও ব্যবসায়ীরা ঢুকলে বড় গরুর চাহিদা বাড়তে পারে।
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জেলায় ছোট-বড় ১০৪টি হাট রয়েছে। এর মধ্যে স্থায়ী গবাদিপশুর হাট রয়েছে ৩৮টি। মান্দার চৌবাড়িয়া ও সতিহাট, নিয়ামতপুরের ছাতড়া, মহাদেবপুরের মহাদেবপুর সদর ও মাতাজীহাট, নওগাঁ সদরের ত্রিমোহনী, বদলগাছীর কোলা, রানীনগরের আবাদপুকুর, আত্রাইয়ের আহসানগঞ্জ, পত্নীতলার মধইল, পোরশার মশিদপুর এবং সাপাহারের দীঘিরহাটে গবাদিপশু বেশি বিক্রি হয়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন