পঞ্চগড়ে দুই স্কুলের একটি ক্যাম্পাসের পরিত্যক্ত ঘরে গড়ে উঠেছে ময়লার স্তূপ। বাজারের সব ময়লা ফেলা হচ্ছে ওই স্কুল ক্যাম্পাসেই। এতে স্বাস্থ্যঝুঁঁকিতে পড়েছেন ওই দুই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা। তারা বলছেন, ময়লার ভাগাড় সরিয়ে নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সদর উপজেলার ঢাকা-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের দুই পাশে জগদল বাজারের পাশেই জগদল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় আর জগদল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুল দুটিতে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। দুই বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস একটি। এ ক্যাম্পাসে ঢুকলেই বাতাসে ভেসে আসবে উৎকট দুর্গন্ধ। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছাকাছি পরিত্যক্ত ওই ভবনটি। প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ বের হয় ওই ভবন থেকেই। এ দুর্গন্ধের মাঝেই খেলাধুলা করে শিশু শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘকাল থেকে জগদল বাজারের সব ময়লা-আবর্জনা ফেলানো হচ্ছে ওই পরিত্যক্ত ভবনে। অনেকে মলমূত্রও ত্যাগ করেন এখানে। মৃত পশুপাখিসহ টয়লেটের ময়লাও ফেলা হয় এ ভবনে। রাতে চলে মাদকসেবীদের আড্ডা। শিক্ষার্থীরা বলছে, প্রতিনিয়ত ময়লার দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে পুরো ক্যাম্পাসে। শ্রেণিকক্ষে বসে মনোযোগ দিয়ে ক্লাস করা যায় না। বিদ্যালয়ে ঢুকলেই উৎকট গন্ধ। এ পরিত্যক্ত ভবনে অনেকেই এসে মলমূত্র ত্যাগ করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এ ভবন ঠিক কবে থেকে পরিত্যক্ত তা জানা যায়নি। ময়লা ফেলতে নিষেধ করলেও শুনছে না কেউই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পরিত্যক্ত ভবনটির ব্যাপারে বিভিন্ন দপ্তরে জানালেও এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি কোনো দপ্তর। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মল্লিকা সরকার জানান, আমি এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে দেখছি পরিত্যক্ত ভবনটি। ভবনটি ভেঙে ফেললে বিদ্যালয়ের জমি বেদখল হয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা রয়েছে। ভবনটি রাস্তা এবং বাজারের পাশে। উত্তর পাশের একটি দেয়াল দখল করে স্থানীয়রা দোকান তুলেছে। এ ব্যাপারেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। যে যার মতো করে ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। স্কুল ক্যাম্পাসে ঢুকলেই দুর্গন্ধ।
পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে। জগদল দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিছুর রহমান জানান, দুর্গন্ধের জন্য পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে। বাচ্চারা মনোযোগী হতে পারছে না। এখানকার লোকজন কেউ কারও কথা শোনে না। মলমূত্র ত্যাগ করে ক্যাম্পাসেই। মরা গরু-ছাগল এনে ফেলে দেয়। আমরা বারবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সমেশ চন্দ্র মজুমদার বলেন, বিষয়টি শুনেছি। অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।