শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মো. বেলাল হোসেন শিকদার। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী গত ১৯ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২ মে সিলেটের সুরমা আবাসিক এলাকায় একটি মেসে ডেকে নিয়ে তাকে অচেতন করে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ। ঘটনার সময় তারা ভুক্তভোগীর অজান্তে ভিডিও ধারণ করেন এবং তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে। তাদের একজনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এবং অপরজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা যায়, অভিযুক্ত শান্ত তারা আদনান ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হামলার ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার আসামিও তিনি। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বলে জানা গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আশিক