অভ্যুত্থানবিরোধী ভূমিকা রাখার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৯ শিক্ষক, ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৩১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এই মর্মে ইতোমধ্যে ১৯ জন শিক্ষককে কারণ দর্শানো হয়েছে। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শোকজের নোটিশে বলা হয়েছে, গত জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে জুলাই আন্দোলনের সময় ওই শিক্ষকদের হুমকি-ধামকি, মারমুখী আচরণ, মিছিলে উস্কানীমূলক স্লোগান প্রদান ও পুলিশি হয়রানির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নোটিশে উল্লেখিত ১৯জন শিক্ষক হলেন- ইইই বিভাগের ড. মাহবুবর রহমান, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ড. মাহবুবুল আরেফিন, আইসিটির ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও ড. তপন কুমার জোদ্দার, বাংলা বিভাগের ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও ড. রবিউল ইসলাম, ইংরেজী বিভাগের ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান, ড. আখতারুল ইসলাম জিল্লু ও ড. আফরোজা বানু, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ড. কাজী আখতার হোসেন ও ড. সেলিনা নাসরিন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ড. শহিদুল ইসলাম, অর্থনীতির ড. দেবাশীষ শর্মা, সিএসই বিভাগের ড. জয়স্রী সেন, আইন বিভাগের ড. শাহজাহান মণ্ডল ও ড. রেবা মণ্ডল, আল ফিকহ এন্ড ল’ বিভাগের ড. আমজাদ হোসেন, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মেহেদী হাসান ও মার্কেটিং বিভাগের মাজেদুল ইসলাম।
ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান, ব্যবস্থপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, আইসিটির অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন ও অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল ও অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন, ইংরেজী বিভাগের অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান, অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম জিল্লু ও সহযোগী অধ্যাপক ড. আফরোজা বানু, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী আখতার হোসেন ও অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম, অর্থনীতির অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, সিএসই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. জয়স্রী সেন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, আল ফিকহ এন্ড ল’ বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন, ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মেহেদী হাসান ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক।
ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত অভ্যুত্থানের সময় যেসব শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনে ১৯ জন শিক্ষকের নাম উঠে এসেছে। সেজন্য শোকজ নোটিশ দিয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে তাদের।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ