বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি ও অযৌক্তিক’ বলে আখ্যায়িত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সোমবার সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান যৌথ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইউট্যাবের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও অধ্যাপক ড. মামুন অর রশিদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাক্রমে প্রোভিসি এবং কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দক্ষতা ও সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তারা নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সুনামের সঙ্গে পেশাদারত্ব বজায় রেখে চাকুরি করেছেন। কিন্তু নির্দিষ্ট অভিযোগে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীরা টানা আন্দোলন শুরু করে। একপর্যায়ে গত ১৩ মে রাতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকেও পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সরকার চাইলে যেকোনো প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু ভিসির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের কারণে অন্যদেরও সরিয়ে দেওয়াটা বেআইনি এবং অন্যায় ও অযৌক্তিক বলেই মনে হয়। আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে পদ সরিয়ে দেওয়ায় মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন। এতে তাদের প্রতি জনমনে বিরূপ ধারণা জন্মাবে। শুধু তাই নয়, দেশের শিক্ষক সমাজের প্রতি মানুষের নেতিবাচক মনোভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে।
অবিলম্বে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদকে তাদের পূর্বের পদে ফেরত নেয়ার জন্য ইউট্যাবের পক্ষ সরকারের কাছে আহবান জানানো হয়েছে।