বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মানের নেতৃত্বে প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে স্বাধীনতা দিবসের র্যালি শুরু হয়। কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ট্রেজারারের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় প্রধান এবং শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘আমরা এমন একটি দিবসে এখানে একত্রিত হয়েছি, যে দিবসটির কল্যাণে আমরা শুধুমাত্র একটি পতাকা বা একটি ভূখণ্ড পাইনি, এটি আমাদের কথা বলার অধিকার, মতামত প্রকাশের অধিকার, কাজের অধিকার এনে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ বা উপলব্দিটুকু এখনো পায়নি। এদেশের ছাত্র জনতার ২৪ এর গণআন্দোলনকে ধারণ করে দৃঢ় একতা, সততা, আন্তরিকতা, দেশেপ্রেমের মাধ্যমে সুন্দর সাম্যের বাংলাদেশ উপহার দিতে আমরা নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখবো।’
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ কী আগে সেটা আমাদের বুঝতে হবে। স্বাধীনতা মানে মৌলিক চাহিদার ৫টি জিনিস। জুলাই ২৪ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি, সেটা আমরা সততা ও কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবো।
এ উপলক্ষে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন স্থাপনা আলোকসজ্জিত করা হবে।
এর আগে গতকাল বাদ জোহর ২৫ মার্চের রাতে নিহতদের স্মরণে কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং রাত ১০ টা ৩০ মিনিট থেকে ১০ টা ৩১ মিনিটি পর্যন্ত ক্যাম্পাসে এক মিনিটের প্রতীকী ব্ল্যাক-আউট কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ