প্রতিবন্ধীরা যে সমাজের বোঝা নয় সেটি প্রমাণ করেছেন মানঞ্জুল ইসলাম সজল। জন্ম থেকে তার দুই পা প্যারালাইসড হলেও তিনি থেমে থাকেননি। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলাকানাই ইউনিয়নের বেড়বাড়ী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মানঞ্জুল ইসলাম সজল। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও তিনি ঝিনাইদহ সরকারি কে সি কলেজ থেকে দর্শনে অনার্স, মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি ১০ বছর বয়স থেকে নিজেই কিছু করার প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। তখন থেকে মায়ের সঙ্গে দেশি জাতের মুরগি পালন শুরু করেছেন।
গত চার বছর ধরে বাণিজ্যিকভাবে দেশি জাতের মুরগি ও বাচ্চা পালন করছেন তিনি। এখন তার খামারে ২০০ মোরগ-মুরগি, ১৫০ মাঝারি মোরগ-মুরগি ও ১০০ বাচ্চা রয়েছে। প্রতিদিন পাচ্ছেন ৫০টি করে মুরগির ডিম। তার খামার থেকে ব্যাপারিরা ছোট-বড় মুরগি ও বাচ্চা কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মাসে খরচ বাদ দিয়ে যে টাকা আয় করেন তা দিয়ে নিজের পড়াশোনা ও সংসারের খরচে কাজে লাগান। বেশির ভাগ সময় তার ফার্মের মুরগিগুলো বাইরে ছাড়া থাকে। সজল ডাকলেই এগুলো তার কাছে ছুটে আসে। সজল জানান, তিনি খামারের পাশাপাশি চাকরির জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই