আমের মুকুলের ম-ম গন্ধে মাতোয়ারা চাঁপাইনবাবগঞ্জের আকাশ-বাতাস। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আগেভাগেই মুকুল এসেছে প্রায় ৯০ ভাগ গাছে। কৃষি বিভাগ বলছে, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও আম চাষিরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিস্তৃত আম বাগানে দোল খাচ্ছে সোনালি মুকুল। এ যেন শুধুই আমের মুকুল নয় বরং চাষির চোখে সোনালি স্বপ্ন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার জেলার বাগানগুলোতে মুকুল এসেছে আগেভাগেই। অন্যান্য বছরের তুলনায় মুকুলের পরিমাণও বেশি। তাই এবার মৌসুমের শুরুতেই মিলছে আমের ভালো ফলনের হাতছানি। বর্তমানে আমের ভালো ফলন পেতে গাছে বিষ দেওয়াসহ গাছের নিচে পানি দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাগান মালিক ও আম চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার আমের বাম্পার উৎপাদন হবে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, এরই মধ্যে ৮৫ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ গাছে মুকুল আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের পরিচর্যাবিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৩৭ হাজার ৫০৪ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টর কম বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। তবে বড় বড় বাগান কেটে প্লট আকারে বিক্রি করায় দিন দিন আম বাগানের পরিমাণ কমছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে সারা দেশের প্রায় অর্ধেক আম চাঁপাইনবাবগঞ্জে উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে জেলায় কোনো শিল্পকারখানা গড়ে না ওঠায় প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ আম পচে নষ্ট হয়। এতে আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। তবে এখানে আম প্রক্রিয়াজাতকরণে ও সংরক্ষণে শিল্পকারখানা গড়ে উঠলে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই