মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিয়ালের কামড়ে ১৬ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ও বুধবার উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের শংকরসেনা, টিকরিয়া, সাইটুলা ও হুগলিয়া গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আহতরা হলেন-নাজমা বেগম, লুবনা বেগম, মো. আ. জলিল, আ. মোমেন, পিয়ারা বেগম, আমেনা বেগম, নুরে আলম ফেরদাউস, মামুন মিয়া, রাহিদ মিয়া, রেহেনা আক্তার, হোসাইন আহমদ, সুমন মিয়া, মো. আতিকুল, নাঈম মিয়া, রনি কুর্মি ও সাজনা বেগম।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক চারজনকে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত দুই দিন ধরে দুইটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। দৌড়ে এসে মুহূর্তেই মানুষের পায়ে, হাঁটুর নিচে ও পায়ের পেশিতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। কেউ তাড়ানোর চেষ্টা করলে শিয়ালটি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। বুধবার সকালে চারজন ও মঙ্গলবার ১২ জনকে কামড় দিয়েছে।
টিকরিয়া গ্রামের পিয়ারা বেগম বলেন, আমি সকালে বাড়ির উঠান ঝাড়ু দিতে যাই। এসময় আমার পায়ে শিয়াল কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
মামুন মিয়া বলেন, রাতে ঘরের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে পায়ে কামড় দিয়ে চলে যায়।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মৌমিতা বৈদ্য বলেন, শিয়ালের কামড়ে আহত ১৬ জন রোগী হাসপাতালে আসে। সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। ইউপি সদস্যদের সাথে আলোচনা করেছি। আজ আর এ ঘটনার রিপিট হচ্ছে না।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেটের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান বলেন, বিষয়টি এখন মাত্র শুনলাম। শিয়ালটি হয়তো জলাতঙ্কে আক্রান্ত। শনাক্ত করে মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই