ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানি হলেন শহরটির প্রথম মুসলিম মেয়র।
মেয়র নির্বাচনে জোহরান মামদানির ঐতিহাসিক বিজয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, ব্যালটে তার নাম ছিল না এবং চলমান অচলাবস্থার কারণে রিপাবলিকানদের এমন ফলাফল।
ট্রাম্প তার সামাজিক মাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ লিখেছেন, ‘ব্যালটেট্রাম্প ছিল না, আর সরকারি অচলাবস্থা—এই দুই কারণেই রিপাবলিকানরা আজকের নির্বাচনে হেরেছে।’ তবে তিনি কোন জরিপ সংস্থা বা তথ্যসূত্রের ভিত্তিতে এই দাবি করেছেন, তা স্পষ্ট করেননি। এর আগে ট্রাম্প মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়ে তিনি বিজয়ী হলে তা নিউইয়র্কের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছিলেন।
এই নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বড় জয় পেয়েছে। নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ার গভর্নর নির্বাচন এবং নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে তারা।
এদিকে নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে মামদানির প্রচার সদর দপ্তরে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। শত শত সমর্থক তার বিজয়ী বক্তব্যের অপেক্ষায় উচ্ছ্বাসে মেতে আছেন।
প্রগতিশীল আন্দোলনের অন্যতম মুখ ইউটিউবার হাসান পাইকার আল জাজিরাকে বলেন, মামদানির জয় প্রমাণ করেছে— প্রার্থীরা যখন শ্রমজীবী ও মধ্যবিত্ত মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করার বার্তা দেন, তখন জনগণ তাদের সমর্থন করে।
তিনি আরও বলেন, যদি আমরা মানুষের জীবনযাত্রার বাস্তব সমস্যাগুলো নিয়ে আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি, তাহলেই দেশকে বিপথে যাওয়া বা কর্তৃত্ববাদী রাজনীতি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।
খবর বলছে, মামদানির এই জয় শুধু নিউইয়র্ক নয়, বরং মার্কিন রাজনীতিতেও প্রগতিশীল ধারার নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল