লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার শ্রীরামপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তিন রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোঁড়ায় সীমান্ত এলাকায় তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বুধবার ভোরে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের পকেট সীমান্ত এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক গ্রেনেড বিস্ফোরণের তীব্র শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। ঘুম থেকে জেগে অনেকে পরিস্থিতি বুঝে না উঠতে পেরে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় কাটান।
সীমান্ত সূত্র ও বিজিবি জানায়, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বিপরীতে ভারতের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার ভেল্কু লতামারী গ্রাম। সীমান্তের মেইন পিলার ৮৫৪ নম্বরের সাব পিলার ৩-এর কাছে ভারতের ১৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রতনপুর ক্যাম্পের টহল দল ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে ৩ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পরপরই বুড়িমারী বিজিবি কোম্পানি ও শ্রীরামপুর বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পরে বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেন শ্রীরামপুর ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোক্তার হোসেন এবং ভারতের পক্ষের নেতৃত্ব দেন রতনপুর ক্যাম্পের ইন্সপেক্টর রনজিত মালি।
বিজিবি বৈঠকে জানায়, বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ সীমান্তবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় ও যোগাযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানায় তারা।
অন্যদিকে বিএসএফ জানায়, ৭–৮ জন গরু চোরাকারবারি সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করলে তাদের ধাওয়া দিতে বাধ্য হয়ে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়াতে উভয় বাহিনী সমন্বিতভাবে কাজ করবে বলে দুই পক্ষ একমত হয়।
বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ মুসাহিদ মাসুম বলেন, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। বিওপি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফকে জানানো হয়েছে, সীমান্তে চোরাচালান দেখা দিলে আমাদের অবহিত করবে, যাতে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি। কোনো অবস্থাতেই সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।
বিডি-প্রতিদিন/সুজন