চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ২০১০ সালে একটি নতুন খাল খনন প্রকল্প গ্রহণ করে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন খালের জন্য ২৮৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়। বরাদ্দের পর দুই দফা মেয়াদ বেড়ে ১১ বছর পার হলেও এখনো খাল খনন কাজ শেষ হয়নি। খাল খনন না হওয়ায় প্রবাহিত হয় না নগরের পানি। ফলে তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। গত বছরের জুন মাসে দ্বিতীয় দফার বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়েছিল। তৃতীয় দফায় আগামী বছরের জুন পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তা অনুমোদন পাওয়ার কথা। বর্তমানে প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৮০ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮৫ শতাংশ।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ১ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা। জানা যায়, ‘বহদ্দারহাট বারইপাড়া-চাক্তাই খাল-শাহ্ আমানত সেতু সংযোগ সড়ক-নগর হাউজিং সোসাইটির মাইজপাড়া-পূর্ব বাকলিয়া-বলীরহাট হয়ে কর্ণফুলী নদী’ পর্যন্ত নতুন খালের দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৯৩ কিলোমিটার ও প্রস্থ ৬৫ ফুট। ইতোমধ্যে প্রকল্পের অধীন প্রায় দুই কিলোমিটার অংশের কাজ শেষ। বর্তমানে নগরের এক কিলোমিটার থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত ৯০০ মিটার অংশের কাজ চলছে। খালের দুই পাড়ে দুই কিলোমিটার অংশের রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণকাজ ও নয়টি ব্রিজের মধ্যে ছয়টির কাজ শেষ। বাকি তিনটি ব্রিজের কাজ চলমান। প্রকল্পের আওতায় খালের দুই পাশে ২০ ফুট করে সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে দুটি সড়ক ও ছয় ফুট প্রস্থের দুটি ওয়াকওয়ে হবে। সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার রিটেইনিং ওয়াল, নয়টি আরসিসি ব্রিজ, দুই লাখ ৮৪ হাজার ৮৮১ ঘন মিটার মাটি উত্তোলন এবং সাড়ে পাঁচ হাজার মিটার ড্রেন নির্মাণ করার কথা।
প্রকল্প পরিচালক ও চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম বলেন, ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতাসহ নানা কারণে প্রকল্পের কাজ বিলম্বিত হয়। তবে এখন কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। বর্তমানে মাত্র ৯০০ মিটার কাজ বাকি। অন্যান্য কাজও প্রায় শেষ হয়ে আসছে। প্রকল্পটি বর্ধিত মেয়াদ গত বছরের জুনে শেষ হয়। তবে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এটি অনুমোদন হওয়ার কথা। আশা করি, আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ শেষ হবে।