যুক্তরাষ্ট্রের ধনকুবের ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে দেশের সবচেয়ে অপ্রিয় ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করেছে সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপ। তবে এই কঠিন সময়ে মাস্কের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গ্লোবাল গবেষণা প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ পরিচালিত ওই জরিপে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে মাস্কের নেট জনপ্রিয়তা স্কোর ছিল মাইনাস ৪, যা জুলাইয়ে নেমে এসেছে মাইনাস ২৮-এ। অর্থাৎ মাস্কের জনপ্রিয়তা গত ছয় মাসে ২৪ পয়েন্ট কমেছে।
জুলাইয়ের ৭ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত পরিচালিত জরিপে ১,০০০ জন আমেরিকানকে ১৪ জন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাতে বলা হয়। তালিকায় ছিলেন— ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং পোপ লিও চতুর্দশ।
তবে সবার নিচে ছিলেন মাস্ক। অংশগ্রহণকারীদের ৬১ শতাংশ মাস্ক সম্পর্কে নেতিবাচক মত দেন। তবে ৩৩ শতাংশ তাকে পছন্দ করেন, এবং ৬ শতাংশ কোনও মন্তব্য করেননি।
এই ফলাফলের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না জরিপটা কতটা নির্ভরযোগ্য। আমি মনে করি মাস্ক একজন ভালো মানুষ। তার একটা খারাপ সময় গেছে, সত্যিই খারাপ সময়। কিন্তু তিনি একজন ভালো মানুষ, এটা আমি বিশ্বাস করি।’
উল্লেখ্য, ইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্কে সম্প্রতি টানাপড়েন দেখা দেয়। এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পর, ট্রাম্পের কর ও ব্যয়ের বিল নিয়ে মাস্ক প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। এর জের ধরে গত জুনে তাদের মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে কথার লড়াই শুরু হয়।
মাস্ক অভিযোগ করেন, যৌন অপরাধে অভিযুক্ত ধনকুবের জেফরি অ্যাপস্টিনের নথিপত্র প্রকাশে ট্রাম্প প্রশাসন বাধা দিচ্ছে, কারণ সেসব ফাইলে নাকি ট্রাম্পের নাম রয়েছে। জবাবে ট্রাম্প মাস্ককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সে যেখান থেকে এসেছে, সেখানেই ফিরে যাক’ (ইঙ্গিত ছিল মাস্কের দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পরিচয়ের দিকে)।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল