চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামের রেলগেটে ট্রেনের সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রামবাসী ওই রেলগেটে গেটম্যানের দাবিতে প্রায় এক ঘন্টা রেলপথ অবরোধ করে। এতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা বলেন, মোটরসাইকেলযোগে আমিরপুর গ্রামের রেলগেটে আসেন ওই যুবক। সেই সময় একটি ট্রেন যাচ্ছিল। ট্রেনটি চলে গেলে মোটরসাইকেল নিয়ে লাইন পার হতে গেলে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে মোটরসাইকেলটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে টেনে নিয়ে যায়।
চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জগদীশ চন্দ্র বসু বলেন, রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে গেটম্যানের দাবিতে কয়েকশ মানুষ ট্রেন অবরোধ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে গেটম্যানের দাবি করছে তারা। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করেছি।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদুর রহমান জানান, অবরোধের খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এ সময় প্রায় এক ঘণ্টা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে। কিন্তু স্থানীয়রা তার কথায় আশ্বস্ত না হওয়ায় ঘটনাস্থলে আসেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম সাইফুল্লাহ। পরে আমিরপুর গ্রামের রেলগেটে দ্রুততম সময়ে গেটম্যান দেওয়ার আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।
বিডি প্রতিদিন/কেএ