সুপার ওভারে জিততে প্রয়োজন ১১ রান। প্রথম বলই ওয়াইড করলেন আকিল হোসেন। পরের বল 'নো' করলেন তিনি। ডিপ মিড উইকেটে স্লগ করে ২ রান দিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ফ্রি হিটে ১ রানের বেশি নিতে পারেননি তিনি।
পরে আকিলের বৈধ চতুর্থ ডেলিভারিতে ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়ে যান অভিজ্ঞ ব্যাটার। ৩ বলে মাত্র ৩ রান করে আউট হন তিনি। এরপর শেষ পর্যন্ত ১ রানে ম্যাচটি হেরে যায় বাংলাদেশ। অথচ বাঁহাতি স্পিনার আকিলের বলে সৌম্যর সামনেই ছিল বাউন্ডারি মেরে ম্যাচটি জেতানোর।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাই নিজের ওপর দায় নিয়ে নেন সৌম্য। কোনো রাখঢাক না রেখে তিনি সোজাসাপটাই বলেন, বাউন্ডারি মারা উচিত ছিল তার।
“হ্যাঁ! এটা বলতে পারেন আমি ব্যর্থ। বাঁহাতি স্পিনার ছিল। আমারও আত্মবিশ্বাস ছিল যে, না আমি একটা বাউন্ডারি এখান থেকে আদায় করতে পারব। কিন্তু হ্যাঁ, এটাও ঠিক যে উইকেটও ওমন ছিল না যে, ছয় বা বাউন্ডারি মারা সহজ। বলটাও অনেক পুরাতন হয়ে গেছে ৫০ ওভারের পরের বল, বল যাচ্ছিল না।”
তবে স্পিন সহায়ক উইকেটে কাজটা যে সহজ ছিল না সেটিও বলেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার।
“মূলত বড় শট করতে গেলে উইকেটের একটা সাহায্য লাগে। বলটা একটু ধীরে আসছিল এবং টার্নও ছিল অনেক বেশি। তো হ্যাঁ! পরবর্তীতে যদি কখনও এরকম উইকেট থাকে, অবশ্যই ঐরকমভাবে অনুশীলন করতে হবে যে এই উইকেটে ছয় মারতে হবে কীভাবে।”
সুপার ওভারের আগে মূল ম্যাচেও ২টি ফ্রি হিট পান সৌম্য। নবম ওভারে প্রথমটিতে কোনো রান নিতে পারেননি বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর ২৯তম ওভারে পাওয়া ফ্রি হিটে নেন মাত্র ১ রান।
ফ্রি হিটে ভালো করতে না পারার কথা স্বীকার করে সৌম্য বললেন, সুপার ওভারে সবগুলো বল ফ্রি হিট ভেবেই খেলেছেন তিনি।
“আজকে তিনটা ফ্রি হিট কাজে লাগাতে পারিনি। আগেও অনেকগুলো ফ্রি হিট আছে, সেভাবে ব্যবহার করতে পারিনি। অমন কিছু (মানসিক সমস্যা) ছিল না। সুপার ওভারে যে বল খেলেছি, প্রায় সবই ফ্রি হিট ছিল। আমার টার্গেটই ছিল ছয় বা বাউন্ডারি মারার। আমি পারিনি। হয়তো এখানে আমার কোনো ল্যাকিং আছে।”
বিডি প্রতিদিন/নাজিম