চোট কাটিয়ে বহু প্রতীক্ষার পর সান্তোসের শুরুর একাদশে ফিরেছিলেন নেইমার জুনিয়র। প্রত্যাবর্তনের এই ম্যাচ ঘিরে ছিল ভক্তদের তুমুল আগ্রহ ও উচ্ছ্বাস। কিন্তু প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তনটা রূপ নেয় এক অপ্রত্যাশিত ও হতাশাজনক পরিণতিতে। বোতাফোগোর বিপক্ষে ম্যাচে বিতর্কিত এক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রাজিলিয়ান তারকা।
ম্যাচের প্রথমার্ধে একটি হলুদ কার্ড দেখার পর, ৭৬তম মিনিটে ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টা করেন নেইমার। রেফারি দাভি দে অলিভেইরা লাসার্দা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে সরাসরি লাল কার্ডে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন তাকে।
এই ঘটনার ১০ মিনিট পরই বোতাফোগো একমাত্র গোল করে ম্যাচ জিতে নেয়। ফলে নেইমারের ফেরার ম্যাচটা রূপ নেয় হতাশায়।
ঘটনার পর ইনস্টাগ্রামে আবেগময় প্রতিক্রিয়া জানান নেইমার। লেখেন,“গোল করার তাড়াহুড়োয় অনেক সময় আমরা ভুল করে ফেলি। আমি আমার সতীর্থদের এবং ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাই। আমি ভুল করেছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও! আজ যদি আমি মাঠে থাকতাম, নিশ্চিতভাবে তিন পয়েন্ট নিয়ে ফিরতাম আমরা। আজ দল খুব ভালো খেলেছে – সবাইকে অভিনন্দন। এই তিন পয়েন্ট আমার ঘাড়ে দিন!”
এরপর আরেকটি স্টোরিতে রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়েও নিজের হতাশা প্রকাশ করেন নেইমার। “দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা ঠিক ছিল, কিন্তু প্রথমটি রীতিমতো মজার মতো ছিল। আমি একটা সাধারণ ফাউল করলাম আর সঙ্গে সঙ্গে হলুদ কার্ড! কী বাজে রেফারি, সত্যি বলছি। এটা আমার ব্যক্তিগত মত, দয়া করে আবার আমাকে শাস্তি দিয়েন না।”
এই ম্যাচটি ছিল সান্তোসের হয়ে নেইমারের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ দিকের একটি। কারণ ৩০ জুন তার বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে, আর এখন পর্যন্ত ক্লাবের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তির আলোচনা শুরু হয়নি।
লাল কার্ডের কারণে অন্তত এক ম্যাচ নিষিদ্ধ হতে পারেন নেইমার, যার মানে ১২ জুন ফোর্তালেজার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে হয়তো খেলতে পারবেন না তিনি। সেই ম্যাচ মিস করলে, এটিই হয়ে যেতে পারে সান্তোসে তার দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষ ম্যাচ।
বিডি প্রতিদিন/মুসা